ভারতের কর্ণাটকে গত কয়েক মাস ধরে বিভাজনের সুর বইছে। কিন্তু তার মধ্যেও সম্প্রীতির নজির রয়েছে। তবে সম্প্রীতির তেমনই এক নজির সামনে এলো। সেখানকার চেন্নাকেশব মন্দিরে কুরআন তিলাওয়াতের পর শুরু হয় রথোৎসব। যদিও কিছু হিন্দু গ্রুপ রথোৎসব শুরুর আগে আপত্তি জানিয়েছিল। তবে তো ধোপে টেকেনি। দীর্ঘদিন ধরেই এই মন্দিরের রথোৎসবের আগে কুরআন তিলাওয়াত করা হয়। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
দ্বাদশ শতাব্দীর হয়সালা রাজা বিষ্ণুবর্ধন এই মন্দির নির্মাণ করে। ১১১৬ সালে চোলাস বিরুদ্ধে জয় লাভের পর এই মন্দির তৈরি করেন তিনি। এই জয়কে তিনি ‘বিজয়া নারায়ণা’ বলে অভিহিত করেছিলেন। প্রতিবছর ভারত ও ভারতের বাইরে থেকে বহু পর্যটক এবং ভক্ত এই মন্দিরে আসেন।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত দুই বছর ধরে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। তবে বুধবার যখন এই উৎসব শুরু হয় তার আগে যথারীতি কুরআন তিলাওয়াত করা হয়। কুরআন তিলাওয়াত করেন কাজি সৈয়দ সাজিদ পাশা। আন্তঃধর্মীয় সর্ম্পক, হিজাব, হালাল এবং আজান নিয়ে বিতর্কের মাঝেই কর্ণাটকে সম্প্রীতির এমন নির্দশন দেখা গেল।
রাজ্যের একজন সাবেক মন্ত্রী এইচডি রেভান্না বলেছেন, তারা ঐতিহ্য অনুসরণ করে আসছে এবং তা অনুসরণ করা উচিত। আমি প্রার্থনা করি রাজ্য ও দেশের সব হিন্দু, মুসলমান, খ্রিস্টান তাদের ঐক্য রক্ষা করুক। আমাদের এই ঐতিহ্যের ব্যত্যয় ঘটতে দেয়া উচিত নয়।
বিগত নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সেখানে মুসলিম বিদ্বেষ বৃদ্ধি পেয়েছে। বেড়েছে এ সংক্রান্ত প্রচারও। কিন্তু রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি চোখ বন্ধ করে রেখেছে।