বাসায় মাদক রাখার অভিযোগে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় বাংলাদেশ দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন কাজী আনারকলিকে ঢাকায় ফিরিয়ে আনার ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক ও বিব্রতকর বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা এটা ইনভেস্টিগেট করছি। নিউজটা আমরা দেখেছি, নিউজটা শুধু দেখার বিষয় না, আমরা সেই কর্মকর্তার বিষয়ে কয়েক দিন আগে থেকেই জানি। এটা আমাদের জন্য বিব্রতকর।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ জাকার্তায় আনারকলির বাসায় গেল মাসের প্রথম সপ্তাহে হঠাৎ অভিযান চালায় ইন্দোনেশিয়া সরকারের মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ওই বাসা থেকে মাদক উদ্ধার করা হয়।
ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী, কূটনীতিক আনারকলি দায়মুক্তির আওতাধীন ছিলেন। তাই তাকে গ্রেপ্তার না করে দূতাবাসের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়। বিষয়টি জানার পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তাৎক্ষণিক তাকে দেশে ফেরার আদেশ জারি করা হয়। পরে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের একজন কর্মকর্তা এটার মধ্যে ইনভলভড, এটাকে স্টোরি বলি বা ঘটনা বলি, বা ইনসিডেন্টই বলি, তিনি এটার মধ্যে ইনভলভড। তিনি নিজে করেছেন, না তার বন্ধু করেছে- সেটা পরে তদন্তে আসবে। কিন্তু পুরো জিনিসটা দুর্ভাগ্যজনক ও বিব্রতকর।
তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে এই কূটনীতিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে শাহরিয়ার আলম বলেন, পররাষ্ট্র ক্যাডারের যে হাই স্ট্যান্ডার্ড, এটার সঙ্গে আমরা কখনোই কমপ্রোমাইজ করব না। তদন্তে যদি সে দোষী সাব্যস্ত হয়, অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে, এটুকু বলতে পারি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া হচ্ছে, এখানে কোনো ভুল নেই। সেই বাসায় আরেকজন বিদেশি নাগরিক ছিল বলে আমরা শুনেছি। সেক্ষেত্রে পুলিশ যেতে পারে। তবে আমরা ধন্যবাদ জানাই ইন্দোনেশিয়া সরকারকে, তারা আমাদের সহযোগিতা করেছেন। আমাদের ডিপ্লোম্যাট আমাদের কাস্টডিতে আছেন, আমাদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই আছেন। এটা আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। তবে আমি আপনাদের নিশ্চিত করতে পারি, এর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে।