ক্লাব বিশ্বকাপে রেকর্ডগড়া জয় বায়ার্নের

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:১৫:৪৪ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫ ১ বার পড়া হয়েছে
বৃত্তান্ত২৪ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ইতিহাসে আগে যা হয়নি, সেটাই করে দেখিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। টুর্নামেন্টটির দুটি রেকর্ড একই ম্যাচে ভেঙে দিয়েছে জার্মান জায়ান্টরা। নিউজিল্যান্ডের ক্লাব অকল্যান্ড সিটিকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে শিরোপা মিশন শুরু করেছে কম্পানির দল।

রোববার (১৫ জুন) সিনসিনাটির টিকিউএল স্টেডিয়ামে অকল্যান্ড সিটিকে ১০-০ গোলে হারিয়েছে জার্মানি। বিশাল এই জয়ে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ গোল করা আর সবচেয়ে বেশি ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড গড়েছে টমাস মুলার-জামাল মুসিয়ালারা।

ক্লাব বিশ্বকাপে কোনো দল ৬ টির বেশি গোল করতে পারেনি। আর জিততে পারেনি ৫ গোলের বেশি ব্যবধানে। ২০২১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্লাব আল জাজিরার বিপক্ষে ৬-১-এ, অর্থাৎ ৫ গোলের ব্যবধানে জিতেছিল সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলাল।

অনন্য এই রেকর্ড গড়ার দিনে বদলি হিসেবে নেমে মাত্র ১৭ মিনিটেই হ্যাটট্রিক করেছেন বায়ার্নের ফরোয়ার্ড জামাল মুসিয়ালা। এ ছাড়া দুটি করে গোল করেছেন কিংসলি কোম্যান, মিশেল ওলিসে ও টমাস মুলার। সাচা বোয়ে করেছেন একটি গোল।

ম্যাচের বেশির ভাগ সময়েই অকল্যান্ডের বক্সের আশপাশে দলটির ১০ জন খেলোয়াড় ছিল। গোলকিপারসহ ধরলে ১১ জন। অন্যদিকে বায়ার্ন মিউনিখের গোলকিপার ম্যানুয়েল নয়্যার ছাড়া বাকি ১০ জন খেলোয়াড়ই বেশির ভাগ সময় ছিল অকল্যান্ডের বক্সের সামনে।

ম্যাচে বায়ার্নের বল দখল ছিল ৭২ শতাংশ। গোল লক্ষ্য করে ৩৩টি শট নেয় তারা, লক্ষ্যে রাখতে পারে ১৭ টি, এর মধ্যে ১০ টিতে গোল পেয়েছে। এর বিপরীতে ২৮ শতাংশ বল দখল রাখা অকল্যান্ড গোল লক্ষ্য করে দুটি শট নিয়ে একটি লক্ষ্যে রাখতে পারে।

প্রথম হাফে অকল্যান্ডের জালে ছয় গোল দেয় বায়ার্ন। দ্বিতীয় হাফে আরও চার গোল করে জার্মান চ্যাম্পিয়নরা। দ্বিতীয় হাফে ৬৭ থেকে ৮৪ মিনিটের মধ্যে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন জামাল। বায়ার্নের পরের ম্যাচে ২১ জুন আর্জেন্টাইন ক্লাব বোকা জুনিয়রসের বিপক্ষে।

এত দাপুটে এবং বড় ব্যবধানে পাওয়া জয়ের পরও নিজেদের ক্লাব ইতিহাসের একটি রেকর্ড ভাঙতে পারেনি বায়ার্ন। দলটির ইতিহাসে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে সবচেয়ে বড় জয়টি ১৫ গোলের। ১৯৯৭ সালের জার্মান কাপে ওয়াল্ডবার্গকে ১৬-১ গোলে হারিয়েছিল তারা। প্রতিযোগিতামূলক কোনো ম্যাচে দলটির সবচেয়ে বেশি গোল করার রেকর্ডও এটিই।

নিউজটি শেয়ার করুন

ক্লাব বিশ্বকাপে রেকর্ডগড়া জয় বায়ার্নের

আপডেট সময় : ০৪:১৫:৪৪ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ইতিহাসে আগে যা হয়নি, সেটাই করে দেখিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। টুর্নামেন্টটির দুটি রেকর্ড একই ম্যাচে ভেঙে দিয়েছে জার্মান জায়ান্টরা। নিউজিল্যান্ডের ক্লাব অকল্যান্ড সিটিকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে শিরোপা মিশন শুরু করেছে কম্পানির দল।

রোববার (১৫ জুন) সিনসিনাটির টিকিউএল স্টেডিয়ামে অকল্যান্ড সিটিকে ১০-০ গোলে হারিয়েছে জার্মানি। বিশাল এই জয়ে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ গোল করা আর সবচেয়ে বেশি ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড গড়েছে টমাস মুলার-জামাল মুসিয়ালারা।

ক্লাব বিশ্বকাপে কোনো দল ৬ টির বেশি গোল করতে পারেনি। আর জিততে পারেনি ৫ গোলের বেশি ব্যবধানে। ২০২১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্লাব আল জাজিরার বিপক্ষে ৬-১-এ, অর্থাৎ ৫ গোলের ব্যবধানে জিতেছিল সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলাল।

অনন্য এই রেকর্ড গড়ার দিনে বদলি হিসেবে নেমে মাত্র ১৭ মিনিটেই হ্যাটট্রিক করেছেন বায়ার্নের ফরোয়ার্ড জামাল মুসিয়ালা। এ ছাড়া দুটি করে গোল করেছেন কিংসলি কোম্যান, মিশেল ওলিসে ও টমাস মুলার। সাচা বোয়ে করেছেন একটি গোল।

ম্যাচের বেশির ভাগ সময়েই অকল্যান্ডের বক্সের আশপাশে দলটির ১০ জন খেলোয়াড় ছিল। গোলকিপারসহ ধরলে ১১ জন। অন্যদিকে বায়ার্ন মিউনিখের গোলকিপার ম্যানুয়েল নয়্যার ছাড়া বাকি ১০ জন খেলোয়াড়ই বেশির ভাগ সময় ছিল অকল্যান্ডের বক্সের সামনে।

ম্যাচে বায়ার্নের বল দখল ছিল ৭২ শতাংশ। গোল লক্ষ্য করে ৩৩টি শট নেয় তারা, লক্ষ্যে রাখতে পারে ১৭ টি, এর মধ্যে ১০ টিতে গোল পেয়েছে। এর বিপরীতে ২৮ শতাংশ বল দখল রাখা অকল্যান্ড গোল লক্ষ্য করে দুটি শট নিয়ে একটি লক্ষ্যে রাখতে পারে।

প্রথম হাফে অকল্যান্ডের জালে ছয় গোল দেয় বায়ার্ন। দ্বিতীয় হাফে আরও চার গোল করে জার্মান চ্যাম্পিয়নরা। দ্বিতীয় হাফে ৬৭ থেকে ৮৪ মিনিটের মধ্যে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন জামাল। বায়ার্নের পরের ম্যাচে ২১ জুন আর্জেন্টাইন ক্লাব বোকা জুনিয়রসের বিপক্ষে।

এত দাপুটে এবং বড় ব্যবধানে পাওয়া জয়ের পরও নিজেদের ক্লাব ইতিহাসের একটি রেকর্ড ভাঙতে পারেনি বায়ার্ন। দলটির ইতিহাসে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে সবচেয়ে বড় জয়টি ১৫ গোলের। ১৯৯৭ সালের জার্মান কাপে ওয়াল্ডবার্গকে ১৬-১ গোলে হারিয়েছিল তারা। প্রতিযোগিতামূলক কোনো ম্যাচে দলটির সবচেয়ে বেশি গোল করার রেকর্ডও এটিই।