রাজধানীর বঙ্গবাজারে আগুন নেভানোর সময় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে অজ্ঞাতনামা ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
রাজধানীর বংশাল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইসরাফিল বুধবার রাতে বাদী হয়ে এই মামলা করেন।
বংশাল থানার পুলিশ ওই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. জাফর হোসেন নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ওই মামলায় গ্রেপ্তার তিনজনকে এক দিন করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তা জাফর হোসেন বলেন, বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড নেভানোর সময় ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তর ও সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ বাধা দিতে গেলে তাদের ওপরও হামলা চালানো হয়। অগ্নিকাণ্ডের সময় কাজে বাধা, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের ওপর হামলা ও সদর দপ্তরে ভাঙচুরের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে পৃথক মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তার মো. রাজু, শাওন ও শাহাদতকে তিন দিন করে রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আজ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে পাঠানো হয়। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে বলেছেন, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যদের ওপর অন্যদের হামলা চালাতে দেখে তারাও হামলা চালিয়েছিলেন। ওই হামলায় জড়িত অন্যদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি।
এদিকে বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজুল হক।
এদিকে বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান জানান, ক্ষতিগস্ত ব্যবসায়ীদের জন্য একইসঙ্গে অস্থায়ীভাবে ব্যবসা করার সুযোগ দেওয়া হবে। ঈদের আগেই এই ব্যবস্থা শুরু হবে। তবে ভবিষ্যতে কোন স্থাপনা হলে সেখানেও এসব ক্ষতিগস্ত ব্যবসায়ীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ দাখিল ও নামের তালিকা করতে বংশাল থানার পক্ষ থেকে অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত বঙ্গবাজার মার্কেটের সামনে।