বৃত্তান্ত প্রতিবেদক: খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, টেকসই খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পথ নির্দেশিকা তৈরি হয়েছে। কাঙ্খিত লক্ষে পৌঁছাতে ও ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
মঙ্গলবার ঢাকার স্থানীয় একটি হোটেলে ‘ন্যাশনাল ডিসেমিনেশন ওয়ার্কশপ অভ ফুড এন্ড নিউট্রেশন সিকিউরিটি স্টাডিজ’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
সাধন মজুমদার বলেন, আমরা নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবার চাই। একশ্রেণির ব্যবসায়ীরা খাদ্যে ভেজাল মিশিয়ে সেটাকে অনিরাপদ করে তোলেন। নিরাপদ ও পুষ্টি তথ্যের পাশাপাশি অনরিাপদ খাবারের বিষয়ে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। একই সাথে কৃষির উৎপাদন কিভাবে বাড়ানো যায়, কিভাবে সংরক্ষণ করলে চাল দীর্ঘদিন ভালো থাকে তা নিয়ে গবেষণা করতে হবে। এসময় তিনি খাদ্য উৎপাদন ও বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে গবেষণা বাড়াতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।
তিনি আরও বলেন, খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবহারে সঠিক তথ্য উপাত্ত থাকা জরুরী। উৎপাদন কতটুকু আর ব্যবহার হচ্ছে কতটুকু সেটা জানা থাকলে খাদ্যও পুষ্টির জন্য পরিকল্পনা করা সহজ হয়। বাজার নিয়ন্ত্রনের জন্য সঠিক তথ্য আরও গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী। আমরা যতটুকু খাবার খাই তার থেকে অনেক বেশি খাবার অপচয় করি উল্লেখ করে তিনি বলেন, খাবার অপচয় কমাতে হবে। ব্যাবসায়ীদের অতি মুনাফা করার প্রবণতা কমানোর আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে তাদেরও ভূমিকা রাখতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. সাশসুল আলম বলেন, টেকসই ও সহনশীল খাদ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সরকারেরর নানাধরনের উদ্যোগ রয়েছে। খাদ্যের অপচয় রোধ এবং পুষ্টিকর খাদ্য সকলের জন্য নিশ্চিত করে ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমানারা খানুমের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিম্পসন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের হেড অফ কোঅপারেশন এর মাওরিজিও চিয়ান এবং ইউএসএইড’র ডেপুটি অফিস ডিরেক্টর রেবেকা মোয়ানিকেলা রবিনসন, এফএও’র সিনিয়র নিউট্রেশন অ্যাডভাইজর ললিতা ভট্টাচার্য ও এফপিএমইউ মহাপরিচালক শহীদুজ্জামান ফারুকী।
অনুষ্ঠানে উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা খাদ্য ও পুষ্টির উন্নয়নে বাংলাদেশের বিশেষ অর্জন ও করোনাকালে খাদ্য ব্যবস্থাপনা প্রশংসা করেন। তারা বলেন, উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো খাদ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত করতে সহযোগী হতে পেরে গর্ববোধ করে।