বৃত্তান্ত প্রতিবেদক: বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে বুধবার থেকে জেলা পর্যায়ে সমাবেশ শুরু করছে বিএনপি। আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত টানা ৯ দিন দেশের জেলা ও বিভাগীয় শহরে এসব সমাবেশ চলবে।
দলীয় প্রধানের চিকিৎসা ইস্যুতে এই প্রথমবারের মতো দেশজুড়ে একযোগে অনুষ্ঠেয় এসব কর্মসূচিতে দলের স্থায়ী কমিটি, সিনিয়র নেতাসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা অংশগ্রহণ করবেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতারা জানান, জেলায় জেলায় সমাবেশ শেষে তারা মহাসমাবেশ করবেন। সরকারের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে মঙ্গলবার পর্যন্ত কোনও ইতিবাচক ইঙ্গিত না পাওয়ায় এই ইস্যুতে সমাবেশ শেষে আরও কর্মসূচি দেওয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে বিএনপির।
ধারাবাহিক এ কর্মসূচির সঙ্গে ধীরে ধীরে অন্যান্য রাজনৈতিক ইস্যুও যুক্ত করার সিদ্ধান্ত রয়েছে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের।
বিএনপি নেতারা জানান, ইতোমধ্যে দলীয় প্রধানের কাছে তার বিদেশে চিকিৎসার জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ে প্রতিনিধি পাঠানোর বিষয়ে মতামত চাওয়া হয়েছে।
তার পরিবারের একজন সদস্য এ বিষয়ে মতামত চাইলে খালেদা জিয়া জানিয়েছেন, তাকে সরকার বিদেশে চিকিৎসা নিতে দেবে না বলেই তিনি মনে করেন। দলের শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতার এ বিষয়ে আগ্রহ থাকলেও তা শেষ পর্যন্ত স্থগিত অবস্থায় রয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বুধবার ছয়টি জেলায় বিএনপির সমাবেশ হবে। টাঙ্গাইলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, হবিগঞ্জে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, যশোরে মির্জা আব্বাস, বগুড়ায় গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, দিনাজপুরে নজরুল ইসলাম খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সমাবেশে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী অংশগ্রহণ করবেন।
এভাবে কেন্দ্রীয় প্রায় সব নেতাই ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলা পর্যায়ের সমাবেশে অংশগ্রহণ করবেন, জানান তিনি।
এদিকে ২৩ ডিসেম্বর বড়দিন উপলক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠান করবে বিএনপি।
শায়রুল জানান, অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্যরা সরাসরি সংযুক্ত থাকবেন।