বৃত্তান্ত প্রতিবেদক
আবারও সুচিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর দাবি করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তাঁকে (খালেদা জিয়া) বাইরে পাঠানো এই সরকারের জন্য দরকার। কারণ, তাঁর যদি কোনো ক্ষতি হয়, এই দেশের জনগণ সরকারকে রেহাই দেবে না।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানবন্ধনে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল এই প্রতিবাদী মানববন্ধনের আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গত সাড়ে তিন বছর কারাগারে থেকে খালেদা জিয়া এখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। তিনি তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, দুবারের বিরোধীদলীয় নেত্রী। দেশের ১৬ কোটি মানুষ তাঁর জন্য রোজা করছে, দোয়া করছে। অথচ তাঁকে চিকিৎসার জন্য বাইরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।’
খালেদা জিয়া কোনো দিন নির্বাচনে পরাজিত হননি উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের গণতন্ত্রের জন্য তাঁর অবদান সবচেয়ে বেশি। তিনি সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছেন।
আওয়ামী লীগ ২০১৮ সালের নির্বাচনের মতো আরও একটি বিতর্কিত নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, এ দেশের মানুষ স্বৈর শাসন, কর্তৃত্ববাদী ও ফ্যাসিবাদী সরকারের জাঁতাকলে পড়েছে। সরকারের আইনমন্ত্রী, যোগাযোগমন্ত্রীর কথা শুনলে মনে হয়, তারা আবার ২০১৮ সালের মতো একটি নির্বাচন করতে চাচ্ছে।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়েও কথা বলেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, বাচ্চারা রাস্তায় নেমেছে। কারণ, তাদের সহপাঠীরা সড়কে নৈরাজ্যের কারণে বাসের চাকার নিচে মারা যাচ্ছে। তিনি সরকারকে ভর্তুকি দিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ পাস (অর্ধেক ভাড়া) পুরোপুরি কার্যকরের দাবি জানান।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন জটিল রোগে আক্রান্ত। তাঁর সুচিকিৎসা হতে পারে মাত্র তিনটি দেশে। কিন্তু সরকার যেটিকে নজর দিচ্ছে না। এই কালক্ষেপণ সরকারের জন্য ভালো ফল বয়ে আনবে না।
মুক্তিযোদ্ধা দলের সহসভাপতি আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।