ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে রাশিয়ার অধিকৃত খেরসোন শহর থেকে বেসামরিক লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার বিষয়টিকে প্রকাশ্য অনুমোদন দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
এ বিষয়ে পুতিন বলেন, বেসামরিক জনগণ যাতে কষ্টের মুখে না পড়ে সে জন্য বিপদজনক এলাকাগুলো থেকে তাদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী ধীরে ধীরে কৌশলগত খেরসোন বন্দরনগরীর দিকে এগিয়ে আসায় সেখান থেকে প্রায় ৭০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে মস্কোর অভিযান শুরুর পর খেরসোন হচ্ছে রাশিয়ার দখল করা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর।
মস্কোর রেড স্কোয়ারে ঐক্য দিবসের ছুটিতে প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, গোলাবর্ষণ ও আক্রমণের ঝুঁকিতে থাকা বেসামরিক লোকজনকে সরিয়ে নিতে হবে।খবর বিবিসির।
কিয়েভ রাশিয়ার বিরুদ্ধে জোর করে বেসামরিক লোকজনকে বাস্তুচ্যুত করার অভিযোগ করে আসছে, যা যুদ্ধাপরাধের সমতুল্য। যদিও মস্কো এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
ইউক্রেনজুড়ে রাশিয়ার প্রচণ্ড ক্ষেপনাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় বেসামরিক অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে যার কারণে কিয়েভকে হরহামেশাই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে হচ্ছে।
পুতিনের এই বক্তব্য আসলো বৃহস্পতিবারের প্রতিবেদনের পর যাতে বলা হয়েছে রাশিয়ান সৈন্যরাও খেরসোন ত্যাগ করছে। এই অঞ্চলে রাশিয়ার বসানো কর্মকর্তা কিরিল স্ট্রেমোসেভ রাশিয়ার গণমাধ্যমকে বলেন যে রাশিয়া ওই এলাকা থেকে সৈন্য সরিয়ে নেবে।
তবে ইউক্রেন কর্মকর্তারা এ বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে বলেছেন যে এ ধরনের খবর তাদের সৈন্যদের বিপদজনক এলাকায় ঠেলে দিতে রাশিয়ার একটি ফাঁদ হিসেবে ব্যবহার হতে পারে।
২৪ ফেব্রুয়ারি হামলার পর খেরসোন হচ্ছে প্রথম দিকে রাশিয়ার দখল করা শহরগুলোর একটি। তবে সম্প্রতি ইউক্রেনের সশস্ত্রবাহিনী কিছু এলাকা পুনর্দখল করে নেয় এবং এগিয়ে আসতে থাকে শহরটি লক্ষ্য করে।
গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে বেসামরিক লোকজনকে শহরটি ছেড়ে যাবার নির্দেশনা দেওয়া হয় কেননা রাশিয়ান সৈন্যরা শহরটিকে প্রতিরক্ষা ব্যুহ হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করে।