রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:০৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
যেকোনো ষড়যন্ত্র রুখে দিতে প্রস্তুত, জানালেন অবসরপ্রাপ্ত সেনারা জাতীয় ঐক্যের ডাক দেশের রাজনীতিতে বড় উদাহরণ এক দল থেকে আরেক দলে ‘ডিগবাজি’ বন্ধে নীতিগত সিদ্ধান্ত সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধে ১৫ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হওয়ার শঙ্কা সিরিয়ায় আরও এক গুরুত্বপূর্ণ শহর বিদ্রোহীদের দখলে সামরিক আইনের জন্য ক্ষমা চাইলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট বেলারুশে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের পরিকল্পনা পুতিনের ইসরায়েলের হামলায় গাজায় আরও ৬৩ ফিলিস্তিনি নিহত গ্লোবাল সুপার লীগের শিরোপা জিতেছে রংপুর রাইডার্স ৮৬৬ ম্যাচ খেলে প্রথমবার ২ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা নয়ারের এমএলএস ‘মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার’ মেসি সেভেন সিস্টার্স, হিন্দু ও পাকিস্তান নিয়ে চিন্তিত কেন ভারত? শীতের তাণ্ডব, তাপমাত্রার পারদ নেমেছে ১০ ডিগ্রিতে মুসলিম বলেই বসবাস করতে দেবেন না হিন্দুরা ডেঙ্গুতে আরও ৩ মৃত্যু, শনাক্ত ১৮৬

খেলাপি ঋণের পরিমাণ ২৫ হাজার কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৪
খেলাপি ঋণের পরিমাণ ২৫ হাজার কোটি টাকা

দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ একবছরের ব্যবধানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ হাজার কোটি টাকা। খেলাপি কম দেখাতে ব্যাংকগুলো এখন খেলাপি ঋণ অবলোপন বা রাইট অফ করা হচ্ছে। যেটা ব্যালান্স শিটে অন্তর্ভুক্ত থাকছে না। এর ফলে খেলাপি ঋণ হিসেবে তা প্রকাশ করছে না ব্যাংকগুলো।

গত বছরের এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে পরিমাণের দিক থেকে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে খেলাপি ঋণ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, একই বছরের অর্থাৎ ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা, যা তাদের মোট ঋণের ৯ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন বলছে, সদ্য সমাপ্ত ২০২৩ সালের ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে ব্যাংকিং খাতের মোট ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ১৭ হাজার ৬৮৮ কোটি টাকা। বিরতণ করা এসব ঋণের মধ্যে খেলাপিতে পরিণত হয়েছে এক লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা। যা মোট বিতরণকৃত ঋণের ৯ শতাংশ। একবছর আগে ২০২২ সালের ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল এক লাখ ২০ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা।

২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে এক বছরের ব্যবধানে দেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ২৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকার বেশি। তবে তার আগের প্রান্তিক অর্থাৎ সেপ্টেম্বর প্রান্তিকের চেয়ে ৯ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা কমেছে। গত বছরের সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল এক লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা। যা তখন বিতরণ করা মোট ঋণের ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ।

তবে অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে খেলাপি ঋণ কমেছে ৯ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা।

সম্প্রতি খেলাপি ঋণ যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনতে ও ব্যাংকিং খাতে সুশাসন ফিরিয়ে আনতে একটি রোডম্যাপ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে খেলাপি ঋণ ৮ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনতে চায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের অন্যতম শর্ত হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনা। সবশেষ ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোয় মোট বিতরণ করা ঋণের মধ্যে খেলাপির হার ২০ শতাংশ ছাড়িয়েছে।

আলোচিত সময়ে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার ৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ, বিদেশি ব্যাংকগুলোর ৪ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার ১৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ। তবে পুনঃতফসিল ও পুনর্গঠন করা ঋণ, সন্দেহজনক ঋণ ও আদালতের আদেশে খেলাপি স্থগিতাদেশ থাকা ঋণকে খেলাপি দেখালে এর পরিমাণ প্রায় তিন লাখ কোটি টাকার কাছাকাছি দাঁড়াবে।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ