বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:৩৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
‘যারা শহীদ হয়েছে তাদের রক্তে সাথে বেইমানি করা যাবে না’ নরেন্দ্র মোদী পুণ্যস্নান করলেন ত্রিবেণী সঙ্গমে ‘দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে প্রত্যাখ্যান করেছে’ চার প্রদেশ ও নতুন দুই বিভাগের প্রস্তাব সংস্কার কমিশনের অনির্বাচিত সরকার কখনো নিরাপদ না: জামায়াতের নায়েবে আমির আখেরি মোনাজাতে শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন দাখিল সরে দাঁড়িয়েছেন মেয়েদের জাতীয় দলের প্রধান কোচ থানায় হামলাকারীদের বিচারের আওতায় আনা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হত্যা মামলায় শাহজাহান ওমরসহ তিনজন গ্রেপ্তার যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে থাকবে গাজা উপত্যকা: ট্রাম্প সুইডেনে স্কুলে গুলি, নিহত ১০ তাপমাত্রার সাথে বাড়বে কুয়াশার দাপট উত্তরবঙ্গের সব পেট্রল পাম্প অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা সবাই খালাস

গণসংহতির সঙ্গে আন্দোলনে ঐক্যমত হয়েছে জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : মে ৩১, ২০২২

গণসংহতি আন্দোলনের সঙ্গে ‘যুগপৎ ধারা’য় আন্দোলনে ঐক্যমত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার (৩১ মে) দুপুরে হাতিরপুলে গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির সঙ্গে দুই ঘন্টার রাজনৈতিক সংলাপ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের কাছে বিএনপি মহাসচিব এই কথা জানান।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, একটা গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, গণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশের সমস্ত মানুষকে একতাবদ্ধ করে, রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ করে আমাদেরকে এই ভয়াবহ যে ফ্যাসিবাদী সরকার যারা আমাদের সমস্ত অর্জনগুলোকে ধবংস করে দিচ্ছে তাদেরকে সরিয়ে সত্যিকার অর্থেই একটা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা একমত হয়েছি। যুগপৎ আন্দোলনের ব্যাপারে আমরা একমত হয়েছি। যে বিষয়গুলোতে আমরা একমত হয়েছি তা হচ্ছে যে, এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বাতিল করতে হবে। সংসদ বাতিল করে আমরা যেটা বলেছি যে, একটা নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করতে হবে। তাদের অধীনে নির্বাচন কমিশন গঠন হবে তাদের মাধ্যমে নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনের মাধ্যমেই ভবিষ্যতে পার্লামেন্ট ও সরকার গঠিত হবে।

তিনি বলেন, আমাদের আলোচনায় মৌলিক কোনো মতভেদ দেখিনি। তবে নির্বাচনকালীন সরকারের নামের বিষয়ে মতভিন্নতা থাকতে পারে, অন্তবর্তীকালীন না নিরপেক্ষ সরকার। এটা নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। আমরা আলোচনার মাধ্যমে এই বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারবো।

ফখরুল বলেন, আমরা আশাবাদী আজকের আলোচনা অত্যন্ত ফলোপ্রসু হয়েছে। এই আলোচনা অব্যাহত থাকবে। আমরা বিশ্বাস করি, অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা যেটা শুরু করেছি প্রক্রিয়া সেটা অতি দ্রুত শেষ করে একটা যৌক্তিক পর্যায় এসে পৌঁছাতে পারবো এবং এই সরকার যারা আমাদের রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে ধবংস করছে, যারা আমাদের মানুষের আশা-আকাঙ্খাগুলোকে হত্যা করছে তাদের বিরুদ্ধে একটা ফলোপ্রসু আন্দোলন করে এতে জয়যুক্ত হতে সক্ষম হবো।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, আমরা মনে করি, আমাদের দলের পক্ষ থেকে এটা স্পষ্টভাবে মনে করি, বর্তমান সরকারের পতনের জন্য আন্দোলন দরকার এবং এই ভাবে যদি একটা জাতীয় রূপরেখা আজকে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো কাছে থেকে হাজির হয় জনগণ নতুন করে আন্দোলিত হবে। একটা বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলে বর্তমান সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে পারবো। সেজন্য আমরা প্রাথমিকভাবে ঐক্যমত হয়েছি যে, যুগপৎ ধারায় আন্দোলন যার যার অবস্থান থেকে পরিচালনা করতে হবে।

বর্তমান সরকার দেশের মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে ১৮ কোটি মানুষকে এককাতারে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে এবং এরা প্রত্যেকেই ভোটাধিকারের দাবিতে আজকে নিজেরা আন্দোলন করবেন। একটা জাতীয় ঐক্যের জায়গায় সরকার যেহেতু দাঁড় করিয়ে দিয়েছে-এই জাতীয় আন্দোলন আগামী দিনে সকলে নিজের অবস্থান থেকে সাধ্যমত করবেন। এরমধ্যে কিভাবে সমন্বয় গড়ে তোলা যাবে সেই সমন্বিত যুগপৎ ধারা বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি, ভবিষ্যতেও এ বিষয়ে আরও আলোচনা হবে। এর মধ্য দিয়ে ভবিষ্যতে একটা কাঠামো একটা রূপরেখা নিশ্চিতভাবে সামনে আসবে।

মঙ্গলবার সোয়া ১২টায় হাতিরপুলে গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার সঙ্গে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুক ও সাবেক সাংসদ জহির উদ্দিন স্বপন। গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকির নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদল আলোচনায় অংশ নেন।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ