১৯৭১ সালের গণহত্যার জন্য এখনো পাকিস্তানের ক্ষমা না চাওয়া দুঃখজনক। এই ঘটনায় ক্ষমা না চাওয়ায় পাকিস্তানের লজ্জা পাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
শনিবার (২৬ মার্চ) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথা বলেন তিনি। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই গণহত্যার সঙ্গে জড়িত সবাইকে মরণোত্তর বিচারের আওতায় আনা উচিত, যাতে পাকিস্তানের নতুন প্রজন্মের কাছে পূর্বপুরুষের অপরাধের বোঝা কমে।
তিনি বলেন, পাকিস্তান এখনো ক্ষমা না চাইলেও সেখানের তরুণ প্রজন্ম এটা চাইতে পারেন। তবে গণহত্যার জন্য ক্ষমা না চাওয়া অগ্রহণযোগ্য।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২৫ মার্চ গণহত্যাকে আমরা নিজের দেশে আগে স্বীকৃতি দিয়েছি। তবে জাতিসংঘে গণহত্যা দিবসের স্বীকৃতি দেয়ার জন্য আমরা আবেদন জানিয়েছিলাম। রুয়ান্ডা, আর্মেনিয়া, কম্বোডিয়াও আবেদন জানিয়েছিল। সে প্রেক্ষিতে ৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিকভাবে গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।
জাতিসংঘে ইউক্রেনের পক্ষে ভোট দেয়ার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এতে রাশিয়া ক্ষোভ প্রকাশের কারণ নেই। মানবিক কারণেই বাংলাদেশ এবার জাতিসংঘে ইউক্রেনের তোলা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে।
এ সময় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনসহ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।