গুলশান, বনানী ও বারিধারা লেককে পুনর্বিন্যাস করে হাতিরঝিলের মতো সাজানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা চূড়ান্ত করা হয়েছে, যেখানে নৌ-চলাচলের পরিকল্পনাও রয়েছে। লেকের উপর থাকা কালভার্ট ও সেতুগুলো ভেঙে করা হবে নতুন দৃষ্টি নন্দন সেতু। একইসঙ্গে লেক ও আশপাশের এলাকার উন্নয়নও করা হবে, থাকবে বিনোদনের ব্যবস্থা। এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা। যা একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউক।
যান্ত্রিক নগরী ঢাকার মাঝে যেন এক ভিন্ন রূপ, হাতিরঝিল। এই জলাধারের অনুকরণে তৈরি করা হবে গুলশান, বনানী ও বারিধারা লেক।
এই তিনটি লেকের প্রথমটি পুলিশ কনভেনশন সেন্টারের পেছন থেকে শুরু হয়ে বাড্ডা, শাহজাদপুর দিয়ে বিস্তৃত হবে বারিধারায়, ইউনাইটেড হাসপাতাল পর্যন্ত। দ্বিতীয় শাখাটি নিকেতন থেকে শুরু করে গুলশান, গাউসুল আজম মসজিদের পাশ ঘেঁষে বনানী কবরস্থান পর্যন্ত। তৃতীয় শাখা নিকেতন থেকে শুরু করে গুলশান হয়ে কড়াইল বস্তির ভেতর দিয়ে বনানী চেয়ারম্যান বাড়ি পর্যন্ত। হাতিরঝিল যেভাবে তৈরি করা হয়েছে, অনেকটা সেভাবেই এ প্রকল্পের কাজ হবে। বাস্তবায়ন করবে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউক।
নতুন পরিকল্পনায় ২৯৮ দশমিক ১৫ একর এলাকাজুড়ে থাকবে নান্দনিক পরিবেশ। নতুন করে ৮০ একর জমি অধিগ্রহণের পাশাপাশি করতে হবে অবৈধ দখল উচ্ছেদ। লেকের দুই পাড়ে সড়ক এবং ৯ টি স্থানে তৈরি করা হবে নান্দনিক সেতু ও ওয়াকওয়ে। থাকবে বিভিন্ন বিনোদনমূলক কার্যক্রমের ব্যবস্থা। রাজউকের নিজস্ব ও সরকারি তহবিল থেকে এটি বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পটি এখন একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায়।
নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, তিনটি লেকের সঙ্গে হাতিরঝিলের নৌ-পথকে যুক্ত করতে পারলে তা ঢাকার যানজট কমাতে সাহায্য করবে। সম্ভাবনাময় এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সতর্ক থাকারও পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
বিদ্যমান বাধাগুলো কাটিয়ে পরিকল্পনা অনুযায়ী লেক উন্নয়ন হলে এখানে যাতায়াতের জন্য তৈরি হবে নতুন জলপথ। আর নগরবাসী পাবে নতুন বিনোদন কেন্দ্র।