পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানের ওপর গুলির ঘটনায় আরও সাতজন আহত হয়েছে। এ সময় দলের এক কর্মী নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার ওয়াজিরাবাদের আল্লাহ ওয়ালা চকে পৌঁছানোর সময় এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এক হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ, অপর একজন নিহত হয়েছে। খবর ডনের।
পাঞ্জাব পুলিশের বরাতে এক প্রতিবেদনে ডন বলছে, বন্দুক হামলায় দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ওপর হামলার সময় তাঁর দলের যে কর্মী নিহত হয়েছেন তার নাম মুয়াজ্জাম নওয়াজ।
রয়টার্সের বরাতে ডন বলছে, ফাওয়াদ চৌধুরী বলেছেন, ‘এটি একটি স্পষ্ট হত্যা প্রচেষ্টা ছিল। খান আঘাত পেয়েছিলেন, কিন্তু তিনি স্থিতিশীল। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছিল।’ ফাওয়াদ চৌধুরী আরও বলেন, ‘যদি বন্দুকবাজকে সেখানকার লোকজন না থামিয়ে দিত, তাহলে পিটিআইয়ের পুরো নেতৃত্ব নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত।’
আজ বৃহস্পতিবার দেশটির পূর্বাঞ্চলে একটি মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়ার সময় তাঁর গাড়িবহরে গুলির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ইমরানের পায়ে তিন থেকে চারটি গুলি লাগে। তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক নয় বলে জানিয়েছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হন। এক হামলাকারী গ্রেপ্তার হন এবং অপর একজন নিহত হন।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ওপর হামলার তদন্তে পাঞ্জাব সরকারের সঙ্গে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি যৌথ তদন্ত দল গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ একথা জানিয়েছেন।
ইসলামাবাদে তথ্যমন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেবের সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে সানাউল্লাহ বলেছেন, ‘গোটা সরকার গোলাগুলির ঘটনার নিন্দা করেছে।’
সানাইল্লাহ আরও বলেন, “তদন্তের সময় ফেডারেল সরকার পাঞ্জাব সরকারকে ‘যেকোনো ধরনের সহায়তার’ আশ্বাস দিয়েছে।”