রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৪২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
১৫ বছরে আস্থাহীনতায় রেমিট্যান্স পাঠাতে আগ্রহ কম ছিল প্রবাসীদের নিজ অবয়বে রূপ নিচ্ছেন দেবী দুর্গা শেরপুর ও ময়মনসিংহে বন্যার অবনতি, ৫ জেলায় জলাবদ্ধতা বিশ্বে বায়ুদূষণের শীর্ষে ভিয়েতনামের হ্যানয় শহর, ১০ নম্বরে ঢাকা গাজায় হামলার বর্ষপূর্তি কাল, বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরোধী সমাবেশ ইরানে হামলার ঘোষণা নেতানিয়াহুর লেবাননে ৪৪০ হিজবুল্লাহ যোদ্ধাকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের পাকিস্তানে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে গোলাগুলিতে ৬ সেনা নিহত দেশের ৮ বিভাগেই বৃষ্টির পূর্বাভাস একইদিনে জয় আর্সেনাল, ম্যানসিটি ও লিভারপুলের ইংল্যান্ডের কাছে হার নিগারদের শেষ মুহূর্তের গোলে মায়ামির কষ্টার্জিত জয় শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, মৃত্যু বেড়ে ৭ ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, নতুন রোগী ৯২৭ মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসীদের জন্য বিমানবন্দরে হবে স্পেশাল লাউঞ্জ

গ্রেনেড হামলার বিভীষিকা এখনও জ্বলজ্বলে হতাহতদের চোখে

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : আগস্ট ২১, ২০২২
গ্রেনেড হামলার বিভীষিকা এখনও জ্বলজ্বলে হতাহতদের চোখে

শুধু আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীই নয়, দেশের মানুষও কোনদিন ভুলতে পারবে না গ্রেনেড হামলার সেই ভয়াবহতা। সন্ত্রাস বিরোধী শান্তিপূর্ণ সমাবেশে কয়েক সেকেন্ডেই ক্যামেরায় ফ্রেমবন্দি হয় রক্তাক্ত ইতিহাস হয়ে।

২১ আগস্টের সে ঘটনা যারা একেবারে কাছে থেকে দেখেছেন প্রায় দেড় যুগ পরও এতটুকুও পুরনো হয়নি তাদের সেই দুঃসহ স্মৃতি। বারবার ভেসে ওঠে ভয়াল সেই দৃশ্যপট। অনেকেই এখনও বয়ে চলেছেন গ্রেনেডের স্প্লিন্টার। সেই স্মৃতি মনে হলে, এখনও শিউরে ওঠেন তারা।

শেখ হাসিনার সমাবেশের শুরু থেকেই মঞ্চের খুব কাছে ছিলেন নেতাকর্মীদের একাংশ, বিশেষ করে নারী কর্মীরা। সমাবেশ শেষে হওয়ার কথা ছিল, শান্তিপূর্ণ র‍্যালি, আর তাই পরপর বিস্ফোরিত ১৩টি গ্রেনেডের স্প্লিন্টার থেকে রক্ষা মেলেনি তাদের অনেকের। যার ক্ষত এখনও বয়ে বেড়াচ্ছেন তারা।

দুঃসহ সেই স্মৃতি জানালেন নাসিমা ফেরদৌসী। তিনি বলেন, আমার পেটিকোটের ফিতে ছিঁড়ে পেটে ঢুকে যায় স্প্লিন্টার। পায়ের মাংসগুলি কেমন ছন্নছন্ন হয়ে যায়। চারিদিকে তাকিয়ে দেখি রক্ত আর রক্ত। এর পরেই আমি অজ্ঞান হয়ে যাই, জ্ঞান ফিরলেই দেখি আমি লাশের ট্রাকে।

বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ভয়াল সে গ্রেনেড হামলার আরেক সাক্ষী আমির হোসেন আমু। ঘটনার সময়, তখনকার বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনার ট্রাকেই দাড়িয়ে ছিলেন তিনি। বলেন, ১৫ আগস্ট যারা বেঁচে গিয়েছিলেন তাদের হত্যার জন্যেই বারবার এমন হামলা করা হত।

রাজনীতির মাঠে অনেক সহিংসতার সাক্ষীই হয়ে থাকেন বিভিন্ন দলের নেতারা। কিন্তু, বর্বর এ গ্রেনেড হামলার মতো ভয়ংকর অভিজ্ঞতা, শুধু তাদেরই ভোগায় না, উদ্বেগ বাড়ায় জনমনে।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ