বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
অন্তর্বর্তী সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে চায়: প্রেস সচিব মানি লন্ডারিংয়ের মামলা থেকে খালাস পেলেন মামুন হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা সৃষ্টিতে উসকানিদাতার পক্ষে ভারত: ফারুক সংস্কার লাগবে, তবে বাকশালের মতো কিছু যেন না হয়: মঈন খান শেখ হাসিনার ‘বিদ্বেষমূলক’ বক্তব্য প্রচারে ট্রাইব্যুনালের নিষেধাজ্ঞা পার্শ্ববর্তী দেশের উসকানি গোটা জাতি ধরে ফেলেছে’ শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে কোনো ছাড় নয়: আইজিপি ভারতেই শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানো উচিত: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ৭ ম্যাচ পর জিতল ম্যানসিটি সালাহ শো শেষেও পয়েন্ট খোয়াল লিভারপুল ফরাসি পার্লামেন্টে আস্থাভোটে মাক্রোঁপন্থি সরকারের পতন ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আশঙ্কাজনকহারে নিম্নমুখী আসাদ বিরোধীদের হঠাৎ উত্থানে সংকটে সিরিয়া ইউক্রেনকে আরো শক্তিশালী করার সিদ্ধান্ত ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর ভারতকে এড়িয়ে চীনের সাথে নেপালের চুক্তি

ঘরের মাটিতে বড় হারে সিরিজ শেষ বাংলাদেশের

স্পোর্টস ডেস্ক
আপডেট : এপ্রিল ৩, ২০২৪
ঘরের মাটিতে বড় হারে সিরিজ শেষ বাংলাদেশের

ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে লজ্জাজনকভাবে হেরেছিল বাংলাদেশ। এবার ঘুরে দাঁড়ানোর মিশনে চট্টগ্রাম টেস্টে প্রত্যাশিত প্রতিরোধও গড়তে পারেনি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। জয়-শান্ত-লিটনদের ব্যাটিং ব্যর্থতায় সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ১৯২ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে স্বাগতিকেরা।

বুধবার (৩ এপ্রিল) চট্টগ্রাম টেস্টের পঞ্চম দিনের খেলায় মাঠে নামে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা।

দিনটিতে ২৪৩ রানের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের সামনে। যেখানে হাতে ছিল মাত্র ৩ উইকেট। তাই হাতে সময় থাকলেও প্রয়োজনীয় শক্তি ছিল না দলের কাছে। তাতে অনুমিত হারই শেষ পর্যন্ত দেখেছেন টাইগার বাহিনী।

৩ উইকেট বাদ দিন, ১০ উইকেটেও তাড়া করে এত বড় লক্ষ্যে জিততে পারেনি কখনো বাংলাদেশ। এর চেয়ে বড় সম্ভাবনা ছিল বাংলাদেশের ২০০ রানের বেশি ব্যবধানে হারের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রানের ব্যবধানে শুধু একবারই যে ২০০ রানের কম ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ।

তবে মেহেদী হাসান মিরাজ সে হতাশা পেতে দেননি। অন্যপ্রান্তে সঙ্গীহীন হওয়ার আগেই বাংলাদেশকে তিন শ পার করিয়েছেন, সিরিজে প্রথমবারের মতো। তাইজুল ও হাসানের সঙ্গে যথাক্রমে ৩৮ ও ৩১ রানের জুটি গড়েছেন। তাইজুল হার মেনেছেন কামিন্দু মেন্ডিসের কাছে। বাকি দুজন লাহিরু কুমারার পেস ও আগ্রাসনের কাছে।

দিনের ১৮তম ওভারে যখন খালেদের স্টাম্প ভাঙল, তখন অন্যপ্রান্তে ৮১ রানে অপরাজিত মিরাজ। ১১০ বলের ইনিংসে ১৪টি চার ছিল। কিন্তু সে ইনিংস শুধু হারের ব্যবধান কমানোর কাজেই লেগেছে। ঘরের মাঠে ধবলধোলাই হওয়া আর আটকানো যায়নি।

শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংসে ৫৩১ রান করার পরই বাংলাদেশের সিরিজ ড্র করার সম্ভাবনা শেষ হয়ে গিয়েছিল। উল্টো বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ১৭৮ রানে অল আউট হওয়ায় জেগেছিল ইনিংস ব্যবধানে হারের সম্ভাবনা। কিন্তু বোলারদের বিশ্রাম দিতে আবার ব্যাটিংয়ে নামে শ্রীলঙ্কা। তবে ৪০ ওভারে ১৫৭ রান তুলেই ইনিংসের সমাপ্তি টানায় বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫১১।

অর্থাৎ জিততে হলে বাংলাদেশকে বিশ্বরেকর্ড গড়তে হতো। আর বাংলাদেশের রান তাড়ার রেকর্ডই মাত্র ২১৭ রানের। তাই ম্যাচের ভাগ্য নিয়ে গত তিনদিনে কোনো অনিশ্চয়তা ছিল না। মিরাজ ও মুমিনুল হকের ফিফটি শুধু ব্যবধানটা একটু ভদ্রস্থ করেছে।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ