বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:১৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দল ঘোষণা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে সেনাবাহিনী : জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় রংধনু গ্রুপের রফিক ও মিজানের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন না ফেরা পুলিশ সদস্যদের আর সুযোগ দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নতুন মামলায় মানিক-সালমান-পলক-মামুনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ সাবেক ৩ সিইসির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে আরো ২২ আনসার গ্রেপ্তার, রিমান্ডে ৭ জন পণ্য রপ্তানির আড়ালে ১০০০ কোটি টাকা পাচার বেক্সিমকোর আগস্টের চেয়ে সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গুতে মৃত্যু ও রোগী বেড়েছে দ্বিগুণ ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার: সেনাবাহিনী কী কী করতে পারবে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় যৌথ বাহিনীর অভিযান, আটক ৫ গাজা যুদ্ধের ইতি টানার আহ্বান জানালেন কমলা পেজার বিস্ফোরণে আরো প্রকট হলো মধ্যপ্রাচ্য সংকট ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড ছাড়তে ইসরায়েলকে সময় বেঁধে দিচ্ছে জাতিসংঘ ক্রোয়েশিয়ার জালে ব্রাজিলের ৮ গোল

চট্টগ্রামে পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষ, টিয়ারশেল নিক্ষেপ

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : জুলাই ২৯, ২০২৪
চট্টগ্রামে পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষ, টিয়ারশেল নিক্ষেপ

চট্টগ্রামে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আবারও পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এক পর্যায়ে পুলিশ শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যসহ ১০ জন আহত হয়েছে। পরে অন্তত ২০ জনকে আটক করা হয়েছে।

সোমবার (২৯ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে নগরের কোতোয়ালি থানার চেরাগী পাহাড় মোড়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

এর আগে, বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সেখানে জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিতে থাকেন। ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে পুলিশ শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান।

এর আগে, বিকেল ৩টার দিকে জামালখান প্রেস ক্লাব এলাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু পুলিশি তৎপরতায় সেখানে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত কোনো কর্মসূচি পালন করতে পারেননি তারা। কয়েকজন শিক্ষার্থী জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে সেখান থেকে তিনজনকে আটক করে পুলিশ। আটকদের মধ্যে একজন চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।

পরে শিক্ষার্থীরা জামালখান প্রেস ক্লাব থেকে কয়েকশ গজ দূরে গিয়ে চেরাগী পাহাড় মোড় এলাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। সেখানে নারী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ বেশি দেখা যায়।

এছাড়া, দুপুর ৩টার দিকে নগরের কাজীর দেউরি এলাকায়ও জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। পরে সেখানে সেনাবাহিনীর কয়েকটা গাড়ি এসে অবস্থান নেয়। ঘটনাস্থলের পাশে পুলিশের একটি টিমও দেখা গেছে।

নগর পুলিশের দক্ষিণ জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিনা অনুমতিতে তারা বিক্ষোভ শুরু করে। আমরা সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে তারা বিনা উসকানিতে পুলিশের ওপর হামলা করে। এতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে আমরা ২০ জনকে আটক করেছি। তাদের বিষয়ে যাচাই-বাছাই চলছে।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার কাজী তারেক আজিজ বলেন, এমনিতে সভা-সমাবেশ করলে পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু তারা পুলিশ থেকে কোনো অনুমতি নেয়নি। এছাড়া, কারফিউ চলাকালে শিথিল থাকলেও কোনো সভা-সমাবেশ করা যায় না। কেউ যদি আইনভঙ্গ করে কর্মসূচি পালন করে, পুলিশ সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে আইনিভাবে বিষয়টি মোকাবিলা করবে।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ