বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৮:৫৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
নির্বাচন কবে? মার্কিন সিনেটরকে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা ভারতে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার প্রতিবাদ ইনকিলাব মঞ্চের দুই ছাত্র উপদেষ্টাসহ সরকারি দপ্তর থেকে ছাত্রদের পদত্যাগ দাবি সেনাপ্রধানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর গ্যারি পিটার্সের সৌজন্য সাক্ষাৎ নাঈমুল ইসলাম খানের ১৬৩ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ বাংলাদেশের জন্য ওমরাহ ভিসা বন্ধ করেনি সৌদি: ধর্ম উপদেষ্টা দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর চালু হলো যমুনা রেলসেতু তুলসির বক্তব্য আমেরিকা-বাংলাদেশ সম্পর্কে প্রভাবে ফেলবে না: অর্থ উপদেষ্টা শেখ হাসিনা পরিবারের ৩৯৪ কোটি টাকা জব্দ ‘যায়যায়দিন’ পত্রিকার ডিক্লেয়ারেশন ফিরে পেলেন শফিক রেহমান ‘ট্রাম্পের সঙ্গে পরামর্শ করেই হামলা চলছে, সমগ্র নরক ভেঙে পড়বে’ গাজায় নিহত ৩০০ ছাড়াল, হামলা চালিয়ে যাবে ইসরায়েল ট্রাম্পের ‘রেড লিস্টে’ ভুটান! নজরে পাকিস্তানও মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের সমাধি ঘিরে বিক্ষোভ–সংঘর্ষ, কারফিউ জারি সামরিক খাতে যেভাবে বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে তুরস্ক

চট্টগ্রাম হাসপাতালে আহতদের আর্তনাদ

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : জুন ৫, ২০২২
চট্টগ্রাম হাসপাতালে আহতদের আর্তনাদ

রক্ত, মরদেহ আর পোড়া মাংসের গন্ধে ছেয়ে গেছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের বাতাস। সীতাকুণ্ডে ভাটিয়ারীতে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুন লাগার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ কর্মীসহ নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩ জনে। এছাড়াও আহত হয়েছে দুইশ’র বেশি মানুষের ।

শনিবার (৪ঠা জুন) রাত ১১টার দিকে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি রোববার সকাল ১০টার পরেও। উল্টো কেমিক্যালপূর্ণ কনটেইনারে বিস্ফোরণ, পানি স্বল্পতাসহ বিপর্যয়ের মুখে পড়ে মাঝরাতে এক প্রকার অসহায় হয়ে পড়ে ফায়ার সার্ভিস। বিরতি দিয়ে আবার সকালের দিকে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

এদিকে, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের গেইট দিয়ে আহতদের বহন করা একটি করে গাড়ি ঢুকছে আর ভিড় সামলাতে প্রাণপণে বাঁশি ফুঁকে চলেছেন আনসার সদস্যরা। রেডক্রিসেন্টের সদস্যরা রক্তের জন্য হ্যান্ডমাইকে একের পর এক ঘোষণা দিয়েই যাচ্ছেন। যাদের রক্তের প্রয়োজন এবং যারা রক্ত দিতে চান তাদের যোগাযোগ করতে অনুরোধ করছেন। সবাইকে ব্লাড ব্যাংকের দিকে যেতে বলছেন। ভিড়, বাঁশির শব্দ, আহতদের কান্না আর আর্ত চিৎকারে সেই ঘোষণাও হারিয়ে যাচ্ছে।

চমেক হাসপাতালে আহতদের সংখ্যা এত বেশি ছিল যে আগতদের কারও কারও নাম এন্ট্রি করা হয়নি। আঘাত অনুসারে তাদের বিভিন্ন ওয়ার্ডে পাঠানো হচ্ছে। অ্যাম্বুলেন্স, প্রাইভেট কার, হিউম্যান হলার, সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে আহতদের আনা হচ্ছিল রাত সোয়া ১টা পর্যন্ত।

হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন মো. ইলিয়াস চৌধুরী বলেন, বিএম ডিপোতে আগুন থেকে কন্টেইনারে বিস্ফোরণে আহতরা সবাই চট্টগ্রাম মেডিকেলে এসেছেন। এখনও আসছেন। সব চিকিৎসক ও নার্সদের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জড়ো করেছেন। রক্ত দেওয়ার জন্য লোকজন জড়ো করা হয়েছে।

চমেক হাসপাতালে শত শত স্বেচ্ছাসেবক জড়ো হয়েছেন। এরমধ্যে রেড ক্রিসেন্টসহ সাধারণ মানুষও যোগ দিয়েছেন। মৃতদের স্বজনদের হাহাকার আর আহতদের আর্তনাদে ক্রমশই ভারী হয়ে উঠেছে চমেকের বাতাস। মেডিকেলে আসা রোগীদের চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে মেডিকেল কর্তৃপক্ষকে।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ