বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৫৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সাবেক ৩ সিইসির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে আরো ২২ আনসার গ্রেপ্তার, রিমান্ডে ৭ জন পণ্য রপ্তানির আড়ালে ১০০০ কোটি টাকা পাচার বেক্সিমকোর আগস্টের চেয়ে সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গুতে মৃত্যু ও রোগী বেড়েছে দ্বিগুণ ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার: সেনাবাহিনী কী কী করতে পারবে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় যৌথ বাহিনীর অভিযান, আটক ৫ গাজা যুদ্ধের ইতি টানার আহ্বান জানালেন কমলা পেজার বিস্ফোরণে আরো প্রকট হলো মধ্যপ্রাচ্য সংকট ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড ছাড়তে ইসরায়েলকে সময় বেঁধে দিচ্ছে জাতিসংঘ ক্রোয়েশিয়ার জালে ব্রাজিলের ৮ গোল লিভারপুল, রিয়াল মাদ্রিদের জয় প্রতিপক্ষের জালে বায়ার্নের ৯ গোল সারা দেশে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পেল সেনাবাহিনী ডেঙ্গুতে একদিনে ৫ জনের মৃত্যু, ভর্তি ৮৭২ অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না : তারেক রহমান

চাকরিতে বয়সসীমা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই: জনপ্রশাসনমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : জুলাই ৩, ২০২৪
চাকরিতে বয়সসীমা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই: জনপ্রশাসনমন্ত্রী

জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হেসেন বলেছেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হলে বিভিন্ন পদের বিপরীতে চাকরি প্রার্থীর সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে। এতে ৩০ বছরের কম বয়সী প্রার্থীদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হতে পারে। তাই সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর পরিকল্পনা সরকারের নেই।

বুধবার (৩ জুলাই) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে পিরোজপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য শামীম শাহনেওয়াজের প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসনমন্ত্রী এসব কথা বলেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, আগে বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বড় ধরনের সেশনজট থাকলেও বর্তমানে উল্লেখযোগ্য কোনো সেশনজট নেই বললেই চলে। শিক্ষার্থীরা ১৬ বছরে এসএসসিসহ ২৩-২৪ বছরে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করে থাকে।

তিনি বলেন, চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর হলেও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পরও তারা আবেদনের জন্য কমপক্ষে ৬-৭ বছর সময় পেয়ে থাকে। এ ছাড়া ৩০ বছর বয়সসীমার মধ্যে একজন প্রার্থী আবেদন করলে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে আরও ২-১ বছর লেগে যায়। ফলে চাকরিতে যোগদানের জন্য ন্যূনতম বয়স ৩০ বছর থেকে ৩৫ বছর করার যে দাবি করা হচ্ছে প্রকৃত পক্ষে তার কাছাকাছি পর্যায়ে উপনীত হয়।

পাবলিক সার্ভিস কমিশনের রিপোর্টের প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী বলেন, ৪৩ তম বিসিএস পরীক্ষায় বিভিন্ন স্তরে উত্তীর্ণ প্রার্থীগণের বয়স ও জেন্ডারভিত্তিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী কম বয়সী (২৩-২৫) সুপারিশকৃত প্রার্থীর সংখ্যা সব থেকে বেশি (৩৭.৬৮%) এবং বেশি বয়সী (২৯–এর ঊর্ধ্বে) সুপারিশকৃত প্রার্থীর সংখ্যা সবচেয়ে কম ১.৭১%)।

জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, চাকরি থেকে অবসরের বয়সসীমা ৫৭ থেকে ৫৯ বছরে উন্নীত হওয়ায় বর্তমানে শূন্যপদের সংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই কমে গেছে। এ প্রেক্ষাপটে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হলে বিভিন্ন পদের বিপরীতে চাকরি প্রার্থীর সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে। এতে করে যাদের বয়স ৩০ বছরের ঊর্ধ্বে তারা চাকরিতে আবেদন করার সুযোগ পেলেও অনূর্ধ্ব ৩০ বছরের প্রার্থীদের মধ্যে হতাশা তৈরি হতে পারে।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ