রাজধানীর পাইকারি বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে চাল, ডাল, আটা ও সয়াবিন তেল। মোহাম্মদপুর কৃষিবাজারে পাইকারিতে নাজিরশাইল চাল মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি। মিনিকেট মানভেদে ৬০ থেকে ৬১, বিআর আটাশ ৪৪ থেকে ৪৮ আর পাইজাম চাল ৪৫ থেকে ৪৬ টাকা কেজি পাইকারিতে।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে কেজিপ্রতি ২ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। পাইকারি বাজারে চালের দাম বাড়ায় এ প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। প্রায় সব ধরনের চালের দাম খুরচা বাজারে কেজিপ্রতি ৩-৫ টাকা বেশি দেখা গেছে।
ধানের ভরা মৌসুমে চালের দাম বাড়ায় অসন্তুষ্ট ক্রেতারা। তারা বলছেন, বাজারে নতুন চাল এলে দাম অনেকটা কমে যায়। কিন্তু এ বছর উল্টো চিত্র। প্রতিদিন সব ধরনের চালে ১-২ টাকা করে বেড়েই চলছে।
এদিকে, রাশিয়া, ইউক্রেন ও ভারত থেকে গম আমদানি বন্ধের প্রভাব পড়েছে দেশের আটা-ময়দার বাজারে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দুটির দাম। রাজধানীর খুচরাবাজারে এক দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি আটা, ময়দায় মানভেদে দুই থেকে চার টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আর এক মাসের ব্যবধানে তা কেজিতে আট টাকা ছাড়িয়েছে। সয়াবিন তেল নিয়ে ভোগান্তির মধ্যেই আটা, ময়দার এই দাম বৃদ্ধিতে শঙ্কিত ভোক্তারা।
বাজারে আটা ৪২ আর ময়দা ৬২ টাকা কেজি। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৭ টাকা লিটার আর পামঅয়েল ১৫৭ টাকা।
বিক্রেতারা বলছেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম। চড়া আমদানি করা মশুর ডালেরও দাম। আগের মজুত থাকায় মশুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১০২ থেকে ১০৫ টাকা কেজি দরে।