সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:১৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
প্লট গ্রহণে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা পরিবারের বিরুদ্ধে তিন মামলা ডলারের বিপরীতে সর্বকালের সর্বনিম্ন রুপির দাম দ্রুত নির্বাচন না দিলে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন: কর্নেল অলি যে জমি পছন্দ হতো, শেখ হাসিনা তা নিজের করে নিত: রিজভী নিজে নিজে হাঁটতে পারছেন খালেদা জিয়া বিশ্ববাজারে বাড়ল জ্বালানি তেলের দাম যেভাবে শপথ নেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট স্থাপনের ২০ বছরেও চালু হয়নি বিরল স্থলবন্দর গ্রিনল্যান্ড কিনতে কত লাগবে? চলছে বিশ্বজুড়ে আলোচনা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধে কানাডা, সহায়তার ঘোষণা চীনের যুদ্ধবিরতির পরও ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়িতে ফিরতে পারছে না লেবানিজরা গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে বাইডেন-নেতানিয়াহুর ফোনালাপ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আম্পায়ারিংয়ে বাংলাদেশের জেসি মাদ্রিদকে ৪-এর পর এবার ৫ গোলে ভাসাল বার্সা তারা শক্তেরই যম, নরমে তাদের শরম

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যার আসামী আশীষ গ্রেপ্তার

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : এপ্রিল ৬, ২০২২
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যার আসামী আশীষ গ্রেপ্তার

নব্বইয়ের দশকের ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার মূল আসামি আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরীকে গুলশানের বাসা থেকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। এসময় বিপুল পরিমাণ মাদকও উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ১০টা ৫০ মিনিটে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযান শেষে গণমাধ্যমকে র‌্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল। সে্ই তথ্যের ভিত্তিতেই আমরা তার গুলশানের বাসায় অভিযান চালানো হয়েছে।

গ্রেপ্তারের সময় তার বাসা থেকে বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। সেইসাথে দুই জন নারীকেও আটক করা হয়।

এর আগে রাত ১০টা থেকেই আশিষকে গ্রেফতারের অভিযানে গুলশানের একটি বাড়ি ঘিরে রাখা হয়। দীর্ঘ সময় অভিযান চালানোর পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলেও জানান আল মুঈন।

আদালত সূত্র জানায়, বনানীর ১৭ নম্বর রোডের আবেদীন টাওয়ারে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে ১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারা যান সোহেল চৌধুরী। ওই ঘটনায় সোহেল চৌধুরীর ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী বাদী হয়ে রাজধানীর গুলশান থানায় হত্যা মামলাটি করেন।

তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী এ মামলায় ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন।

২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের আদেশ দেন। দুই বছর পর মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য এ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। ওই সময় এক আসামি হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।

হাইকোর্ট বিভাগের তৎকালীন বিচারপতি এমএ মতিন ও সৈয়দ রিফাত আহমদের বেঞ্চ ২০০৩ সালের ১৯ নভেম্বর ওই রিট আবেদনে প্রথমে তিন মাসের জন্য নিম্ন আদালতে মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত করেন। এর পর ২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি রিটের রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মামলাটির নিম্ন আদালতের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।

দীর্ঘ ১৯ বছর পর চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি স্থগিতাদেশ শেষে বিচারিক আদালতে নথি আসে। এরপর আদালত ২০ মার্চ এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেছিলেন। ২০ মার্চ ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল ২-এর বিচারক জাকির হোসেন ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত অন্য দুই আসামি হলেন- ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম ও সেলিম খান।

ওইদিন আদালতে আসামিদের উপস্থিতির জন্য ধার্য ছিল। আসামিরা উপস্থিত না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালতে। এ মামলার আসামি শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী শুরু থেকে পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।

এ ছাড়া মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্যও আজ দিন ধার্য ছিল। মামলার বাদী নিহতের ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির হননি।এদিন আসামি ফারুক আব্বাসী আদালতে হাজিরা দেন। এ ছাড়া আসামি আদনান সিদ্দিকী অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির না হওয়ায় সময়ের আবেদন করেন তার আইনজীবী মোহাম্মদ আব্দুল বাসেত রাখী। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করেন।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ