আগামী ১ থেকে ৭ সেপ্টেম্বর ‘ভোস্তক ২০২২’ শীর্ষক এই মহড়ার আয়োজন করেছে রাশিয়া। চীন-ভারত ছাড়াও, বেলারুশ, মঙ্গোলিয়া, তাজিকিস্তান, সিরিয়া, লাওস, নিকারাগুয়ার মতো দেশগুলো এতে অংশ নেবে। মঙ্গলবার(৩০ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
মস্কো বলছে, ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালে দুই দেশের মধ্যকার ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠ প্রতিরক্ষা সম্পর্কের বিষয়টি প্রদর্শনের জন্য বেইজিংয়ের সঙ্গে একযোগে ব্যাপকভিত্তিক মহড়া চালাবে রুশ বাহিনী।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ভোস্তক ২০২২ শীর্ষক এই মহড়ায় অর্ধলক্ষাধিক সেনাসদস্য অংশ নেবে। এছাড়া মহড়ায় ১৪০টি বিমান, ৬০টি যুদ্ধজাহাজ এবং পাঁচ হাজার অস্ত্র ইউনিট অংশ নেবে।
চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তরফেও রাশিয়ার উদ্যোগে আয়োজিত এই মহড়ায় অংশ নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। বেইজিং বলছে, যৌথ মহড়ায় অংশ নিতে তারা রাশিয়ায় সেনা পাঠাবে।
পূর্ব লাদাখে চীনের সঙ্গে সীমান্ত উত্তেজনার মধ্যেই ভারতীয় সামরিক বাহিনীও এতে যোগ দেবে। তবে বেইজিং বলছে, এই যৌথ মহড়ায় চীনের অংশগ্রহণের সঙ্গে বর্তমান আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক পরিস্থিতির কোনও সম্পর্ক নেই।
চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাশিয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা চুক্তির অংশ হিসেবে চীনা সেনারা এই মহড়ায় অংশ নিচ্ছে।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নেতৃত্বে বেইজিং ও মস্কোর সরকারের মধ্যে সম্পর্ক ক্রমশ ঘনিষ্ঠ হচ্ছে। এক বছর আগে ঠিক এই মাসেই উত্তর-মধ্য চীনে যৌথ সামরিক মহড়া চালায় ১০ সহস্রাধিক রুশ ও চীনা সেনা।
গত অক্টোবরে রাশিয়া ও চীন, জাপান সাগরে একটি যৌথ নৌ মহড়া চালায়। এর কয়েক দিন পর রুশ ও চীনা যুদ্ধজাহাজ পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে তাদের প্রথম যৌথ টহল চালায়। সূত্র: আল জাজিরা, ডয়চেভেলে