বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৪৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার: সেনাবাহিনী কী কী করতে পারবে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় যৌথ বাহিনীর অভিযান, আটক ৫ গাজা যুদ্ধের ইতি টানার আহ্বান জানালেন কমলা পেজার বিস্ফোরণে আরো প্রকট হলো মধ্যপ্রাচ্য সংকট ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড ছাড়তে ইসরায়েলকে সময় বেঁধে দিচ্ছে জাতিসংঘ ক্রোয়েশিয়ার জালে ব্রাজিলের ৮ গোল লিভারপুল, রিয়াল মাদ্রিদের জয় প্রতিপক্ষের জালে বায়ার্নের ৯ গোল সারা দেশে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পেল সেনাবাহিনী ডেঙ্গুতে একদিনে ৫ জনের মৃত্যু, ভর্তি ৮৭২ অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না : তারেক রহমান ফ্যাসিস্টের প্রেতাত্মারা চক্রান্ত করছে : মির্জা ফখরুল দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি নতুন সহায়তার প্রতিশ্রুতি বিশ্বব্যাংকের দেশের মোট রিজার্ভ ২৪.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ‘পরিকল্পনার কাজ শেষ, শিগগিরই শ্বেতপত্র লেখার কাজ শুরু করবে কমিটি’

চীন যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী: কূটনৈতিক ভারসাম্য রক্ষাই হবে চ্যালেঞ্জ

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : জুলাই ৩, ২০২৪
জুনে দিল্লি এবং জুলাইয়ে বেইজিং যাবেন প্রধানমন্ত্রী

আগামী ৮ জুলাই চার দিনের সফরে চীন যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানিয়েছৈন, এই সফরে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। পাশাপাশি আসতে পারে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ঘোষণাও।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সফরে কূটনীতিতে ভারসাম্য রক্ষা করাই হবে ঢাকার মূল চ্যালেঞ্জ। অবশ্য পররাষ্ট্র সচিবের দাবি, ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ক অন্য কোনো দেশের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলবে না।

সম্প্রতি দিল্লি সফর করে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার তিনি যাচ্ছেন বেইজিং। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ের পর এটিই তাঁর প্রথম চীন সফর।

তিস্তা উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে চীন-ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দর কষাকষি চলছে। ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ক নিয়ে আমেরিকার সাথেও আছে অস্বস্তি। বিশ্লেষকেরা বলছেন, চীন সফরে প্রধানমন্ত্রী এসব বিষয় কিভাবে মোকাবিলা করেন সেটাই দেখার বিষয়। কারণ এর ওপরই নির্ভর করছে ভূ–রাজনীতির ভারসাম্য।

সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘চীনা নেতৃত্বকে, আমি মনে করি যেটা তাঁর (প্রধানমন্ত্রী) কনভিন্স করতে হবে যে, দুটো দেশের সাথে সম্পর্কের কোনো সংঘাত নেই। কারণ দুটো দেশের (চীন–ভারত) মধ্যে সংঘাত আছে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক নিলয় রঞ্জন বিশ্বাস বলেন, ‘চীনের সাথে আমাদের বাণিজ্য সবচেয়ে বেশি, ভলিউমের দিক থেকে এবং এরপরেই ভারত অবস্থান করছে। সুতরাং এই দুটো দেশের সাথে সব সময় আমাদের ভালো সম্পর্ক রাখতে হবে।’

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানান, অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হবে শি জিনপিং ও শেখ হাসিনার বৈঠকে। এর মধ্যে রয়েছে, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি, সামরিক সহযোগিতা ও ব্রিকসে ঢুকতে চীনের সমর্থন।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘বেশ কিছু এমওইউ সাইন করার বিষয় আছে। কিছু অ্যানাউন্সমেন্টও আসবে। এখন এটার ফাইনাল কাজগুলো চলছে। চীনাদের সাথেও আমাদের কথাবার্তা চলছে। আমরা আশা করছি, এটা একটা ফলপ্রসু সফর হবে।’

তবে তিস্তা উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে কোনো আলোচনা হবে কি না তা চূড়ান্ত হয়নি বলে জানান পররাষ্ট্র সচিব।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ