বৃত্তান্ত প্রতিবেদক: রাজধানীর হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে র্যাবের হাতে গ্রেফতার প্রতিষ্ঠানটির ফার্মাকোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সালাউদ্দিন চৌধুরীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় হলি ফ্যামিলি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ড. দৌলিতুজ্জামান বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, হলি ফ্যামিলি মেডিকেল কলেজের এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগটি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়ন সংক্রান্ত গঠিত কমিটিতে তদন্তাধীন। চাকরিবিধি অনুযায়ী এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে দায়িত্ব থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
সাময়িক বরখাস্তের পরিপ্রেক্ষিতে চাকরিবিধি অনুযায়ী পরবর্তীতে অন্য কার্যক্রমের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান অধ্যাপক ড. দৌলিতুজ্জামান।
এর আগে রাজধানীর হলি ফ্যামিলি মেডিকেল কলেজের ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির সহকারী অধ্যাপক ডা. সালাউদ্দিন চৌধুরীকে গ্রেফতার করে র্যাব।
বুধবার বিকেলে র্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক এএসপি আ ন ম ইমরান খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, হলি ফ্যামিলি মেডিকেল কলেজের এক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে একই প্রতিষ্ঠানের সহকারী অধ্যাপক ডা. সালাউদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে ওই ছাত্রী মামলাও করেছেন। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব তাকে গ্রেফতার করে।
ওই ছাত্রীর অভিযোগ, কলেজের ফার্মাকোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সালাউদ্দিন চৌধুরী গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর মেসেঞ্জারে আমাকে বিভিন্ন কুপ্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হওয়ায় আমাকে এক শিক্ষাবর্ষে অনেক বছর আটকে রাখবে বলে হুমকি দেয়। এরপর কলেজে বিভিন্নভাবে ডেকে আমাকে উনার দেওয়া মেসেজ ফোন থেকে মুছে দিতে আর উনার সঙ্গে আলাদাভাবে দেখা করতে বলেন।
তিনি বলেন, এর আগে উনি আমাকে কলেজে প্রাইভেট পড়াবেন বলে দুই দফায় ২০ হাজার টাকা নেন, কিন্তু পড়াননি। পড়ার জন্য বারবার আমাকে তার বাসায় আসতে বলেন, যাতে আমি কখনোই রাজি হইনি। এতে তিনি আরও ক্ষিপ্ত হন। আমি আমার ও আমার পরিবারের মানসম্মানের ভয়ে এতদিন কোনো পদক্ষেপ নিতে পারিনি। কিন্তু দিন দিন অবস্থা এতই খারাপ হয় যে, আমার কলেজে পড়ালেখা চরম হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে।
ওই ছাত্রী বলেন, এখন তিনি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন দিয়ে আমাকে ভয় দেখাচ্ছেন। এরই মধ্যে উত্তরা পশ্চিম থানায় এই মর্মে একটা জিডি করেছি। পরে মঙ্গলবার নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে রমনা থানায় মামলা করি।