ছুটির দিনে জমজমাট অমর একুশে বইমেলার শিশু প্রহর। বইমেলার শিশু প্রহর শুরু হয় সকাল সাড়ে ১১টায়। সিসিমপুরের চরিত্রগুলোর সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পেয়ে খুশির অন্ত নেই শিশুদের। সিসিমপুর দেখার পাশাপাশি বইয়ের সাথেও পরিচিত হয় শিশুরা। খেলার ছলে বইমেলায় এসে বইয়ের সাথে বাচ্চাদের পরিচয় করিয়ে দিতে পেরে খুশি অভিভাবকরা।
একুশের বইমেলায় সপ্তাহের দুদিন শুক্র ও শনিবার শিশু-কিশোরদের মূল আকর্ষণ থাকে শিশু প্রহর ঘিরে। বেলা ১১টা থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে শুরু হয় এই আয়োজন। চলে বেলা ১টা পর্যন্ত। প্রথমেই শিশু চত্বরে আয়োজন করা হয় শিশুদের বিশেষ অংশগ্রহণমূলক অনুষ্ঠান। এরপর শুরু হয় সিসিমপুরের মূল আকর্ষণ। টুকটুকি, ইকরি, হালুমের নাচে মাতোয়ারা হয়ে ওঠে শিশু চত্বর। ছোটোদের উচ্ছ্বাস উপভোগ করেন বড়রাও।
শিশুদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে অভিভাবকেরা খুশি। এ ধরনের আয়োজন শিশুদের অনলাইননির্ভর বিনোদন থেকে সরিয়ে সামাজিকতা শেখাতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তারা।
জনপ্রিয় শিক্ষামূলক টেলিভিশন ধারাবাহিক সিসিমপুরের হালুম, টুকটুকি, ইকরি, শিকুর সঙ্গে নাচে-গানে আনন্দ-উল্লাসে মেতেছে শিশুরা। শুক্রবার বাবা-মায়ের সঙ্গে অমর একুশে বইমেলা আনন্দ-উল্লাসে ভরপুর থাকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিশু চত্বর। শিশুপ্রহরে মেলায় অংশ নিয়ে উচ্ছসিত শিশুরা।
শুধু আনন্দ আর হৈ হুল্লোড় করে সময় কাটানোই নয়। তাদের পছন্দের তালিকায় আছে নানা রকম গল্প, ভূতের বই। সিসিমপুরের এই অনুষ্ঠান শিশুদের বইয়ের সাথে পরিচিত হতে সাহায্য করছে বলে মত অভিভাবদের। শুক্র-শনি সপ্তাহে দু’দিন বইমেলায় সিসিমপুরের আয়োজন হয় সকাল সাড়ে ১১টা, বিকেল সাড়ে ৩টা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়।
একজন অভিভাবক বলেন, ‘বাচ্চারা ছোটবেলা থেকেই যেন বই পড়ায় অভ্যস্ত হয়। আর আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে যেন পরিচিত হয়। এটার জন্যই মেলায় নিয়ে আসতে ভালো লাগে।’
‘অন্য এক অভিভাবক বলেন, ‘বাচ্চারা নিয়মিত সিসিমপুর দেখে। এদের চরিত্রগুলোর সঙ্গে আমার বাচ্চারা পরিচিত। সে কারণেই ভাবলাম যে, এবার সরাসরি তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করানো যায় কিনা। এজন্য ওদের এখানে নিয়ে আসা।’
শিশু সন্তানদের মেলার শিশু প্রহরে নিয়ে আসা আরেক অভিভাবক বলেন, ‘বইমেলায় খোলামেলা একটা পরিবেশ। আর আমার কাছে মনে হয় গ্রামীণ একটা ছোঁয়া আছে এখানে। সাথে অনেক বই। ওরা বইয়ের প্রতি আগ্রহী হবে, এজন্যই মূলত আসা।’