রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী আজ নির্বাচন, সংস্কার ও জুলাই গণহত্যার বিচারের একত্রিত রোডম্যাপের আহ্বান এনসিপির সংস্কার শেষ হলে ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন চায় জামায়াত বিতর্কিত উপদেষ্টাদের বাদ ও ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবি বিএনপির দেশে চলমান সংকট সমাধানের উপায় জানালেন মঈন খান বাজারে আসছে নতুন ৩ নোট, থাকছে না ব্যক্তির ছবি একনেকে ১১ হাজার ৮৫১ কোটি ২৯ লাখ টাকার ৯ প্রকল্প অনুমোদন দুই ছাত্র উপদেষ্টার সঙ্গে এনসিপির কোনো সম্পর্ক নেই: নাহিদ ইসলাম গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে: এ্যানি ‘সরকারের কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত’ ক্লাব বিশ্বকাপে মেসি-রোনালদোকে একদলে দেখতে চান ফিফা সভাপতি টি-টোয়েন্টিতে লজ্জার রেকর্ডে সাকিবের নাম ভারতের উত্তর প্রদেশে ঝড়-বৃষ্টি-বজ্রপাতে ৫৬ জনের মৃত্যু অর্ধযুগ পর সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আংশিক শিথিল যুক্তরাষ্ট্রের সন্তানকে খাবার দিতে দিশেহারা গাজার মায়েরা

জলবায়ু সংকটে ঋণের বোঝা বেড়েছে ৫০ দেশের

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : জুন ৫, ২০২৪
জলবায়ু সংকটে ঋণের বোঝা বেড়েছে ৫০ দেশের

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী এমন ৫০ দেশের ঋণের বোঝা বেড়েছে। করোনাভাইরাস মহামারির পর ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে এসব দেশের, যা এখন গত তিন দশকের মধ্যে বেড়ে সর্বোচ্চ।

ডেবট জাস্টিস নামের একটি সংস্থা জানিয়েছে, তাপপ্রবাহের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর অবস্থা বেশি অবনতি হয়েছে। তারা বিদেশি ঋণদাতাদের সরকারি রাজস্বের ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ পরিশোধ করছে, যা করোনা মহামারির আগের প্রায় ৮ শতাংশের তুলনায় অনেক বেশি। ২০১০ সালে এই হার ছিল ৪ শতাংশ। খবর দ্য গার্ডিয়ান’র।

বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) তথ্য বিশ্লেষণ করে দাতা সংস্থাটি জানায়, জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় দেশগুলো যাতে বিনিয়োগ করতে পারে সেজন্য তাদের ওপর থেকে ঋণের বোঝা জরুরিভিত্তিতে কমানো দরকার।

ডেবট জাস্টিসের নির্বাহী পরিচালক হেইডি চাউ বলেন, রেকর্ড পরিমাণ ঋণের বোঝা জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় ভুক্তভোগী দেশগুলোর সক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে। ঋণ সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে আমাদের দ্রুত ও কার্যকর প্রকল্প দরকার বলে মনে করেন তিনি।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভুক্তভোগী ৫০ দেশের বিষয়ে তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে দেশগুলোর মোট বিদেশি সুদের ৩৮ শতাংশই পরিশোধ করতে হয় বেসরকারি ঋণদাতাদের কাছে, ৩৫ শতাংশ বহুপাক্ষিক প্রতিষ্ঠানের কাছে। এক্ষেত্রে চীনকে পরিশোধ করতে হয় ১৪ শতাংশ ও ১৩ শতাংশ পরিশোধ করতে হয় অন্য সরকারের কাছে।

১৯৯০ ও ২০০০ সালের মাঝামাঝি দুইবার ঋণ সহজের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এতে দরিদ্র দেশগুলোর ঋণের বোঝা কমেছিল। ২০১০ সালের দিকে ঋণ পুনঃপরিশোধ ধীরে ধীরে বাড়ে। তবে ২০২০ সালের পর বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।

ডেবট জাস্টিস নতুন ঋণ সংকটের জন্য বেশ কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছে। একটি হলো মহামারির শুরুতে ঋণদাতাদের নেওয়া সাসপেনশন স্কিম শেষ হয়ে গেছে এবং এসব ঋণ এখন পরিশোধ করতে হবে।

ঋণ নেওয়া দেশগুলো বেকায়দায় পড়ার আরও একটি কারণ হলো সুদের হার বেড়ে যাওয়া। তাছাড়া মার্কিন ডলারের শক্তিশালী অবস্থানের কারণে ঋণ পরিশোধের পরিমাণও বেড়েছে।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ