শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
নির্বাচিত সংসদ ছাড়া সংবিধানের পরিবর্তন করা যায় না: গয়েশ্বর রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে আওয়ামী লীগ সংখ্যালঘুদের ব্যবহার করতো আমলাদের মধ্যে এখনও ভারতের দোসর আছে: মাহমুদুর রহমান ভুল তথ্যের ভিত্তিতে গড়ে ওঠে আর্থিক কাঠামো আমুর আইনজীবীকে মারধর করা হয়নি: পিপি ফারুকী চিফ অফ স্টাফ হিসেবে সুসি ওয়াইলসকে নিয়োগ দিলেন ট্রাম্প গাজা ও লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় নিহত শতাধিক জনগণকে উত্তেজিত না হওয়ার আহ্বান বাইডেনের ভারতে রুশদির ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা উঠল ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসরে যাচ্ছেন নবি অস্ট্রেলিয়ার সামনে অন্য পাকিস্তান আজ মেঘ মেঘ করবে, কাল হতে পারে বৃষ্টি টানা দ্বিতীয়বার ফ্রান্সের স্কোয়াডে রাখা হয়নি এমবাপ্পেকে বাংলাদেশ-ভারত টেস্টের জন্য ডিমেরিট পয়েন্ট পেল কানপুর একদিনেই হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১৮শ’ টন আলু আমদানি

জাতির পিতা মে দিবসে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন: রাষ্ট্রপতি

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : এপ্রিল ৩০, ২০২২

শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে সরকার, শ্রমিক-মালিকসহ সব উন্নয়ন অংশীজনকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।আগামীকাল রোববার (১ মে) মহান মে দিবস। এ উপলক্ষে আজ শনিবার (৩০ এপ্রিল) দেয়া এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।

‘শ্রমিক-মালিক একতা, উন্নয়নের নিশ্চয়তা’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মে দিবস পালিত হচ্ছে জেনে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন। দিবসটি উপলক্ষে তিনি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব শ্রমজীবী মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

আবদুল হামিদ বলেন, মহান মে দিবস বিশ্বব্যাপী শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার ইতিহাসে স্মরণীয় দিন। ১৮৮৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে হে মার্কেটে রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের মাধ্যমে শ্রমিকদের ৮ ঘণ্টা কাজের দাবি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সেই স্মৃতি শ্রমজীবী মানুষ তথা বিশ্বের সব মানুষের কাছে চির অম্লান হয়ে থাকবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন। তিনি ছিলেন শ্রমজীবী মানুষের অকৃত্রিম বন্ধু। স্বাধীনতার পর মে দিবস রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায় এবং জাতির পিতা মে দিবসে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধু শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে মজুরি কমিশন গঠন করেন। সেই সঙ্গে শ্রমিকদের জন্যও নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, ১৯৭২ সালে জাতির পিতার উদ্যোগ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আন্তজার্তিক শ্রম সংস্থার সদস্যপদ লাভ করে। আইএলও-র ছয়টি কোর কনভেনশনসহ ২৯টি কনভেনশন অনুসমর্থন করে। এটি বিরল ঘটনা এবং শ্রমজীবী মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও তাদের অধিকার রক্ষায় এক অনন্য স্বীকৃতি। বাংলাদেশের সংবিধানের ১৪ অনুচ্ছেদে নাগরিকের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতসহ কৃষক ও শ্রমিককে সব ধরনের শোষণ থেকে মুক্তি দেয়ার অঙ্গীকার রয়েছে।

আবদুল হামিদ বলেন, শ্রমজীবী মানুষের অধিকার সুরক্ষায় শিল্প ও শ্রমিক সংক্রান্ত সব আইনের সমন্বয় করে ২০০৬ সালে প্রণীত হয় ‘বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬’ যা ২০১৩ ও ২০১৮ সালে ব্যাপকভাবে সংশোধন করা হয়েছে। শ্রম আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে ২০১৫ সালে প্রণয়ন করা হয় ‘বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা ২০১৫’। এছাড়া ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নীতিমালা, ২০১৩’ এবং গৃহশ্রমিকের সুরক্ষায় ‘গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি, ২০১৫’ প্রণয়ন করা হয়েছে। শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থ সংরক্ষণ ও সার্বিক জীবনমান উন্নয়নে সমন্বিত উদ্যোগ অত্যন্ত জরুরি।

তিনি বলেন, বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকার জন্য সরকারের পাশাপাশি শ্রমিক-মালিক উভয়ের সুসম্পর্ক বজায় রাখার মাধ্যমে কলকারখানার উৎপাদন বৃদ্ধিতে আরো নিবেদিত হতে হবে। শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থ সংরক্ষণ ও অধিকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়েই শিল্প-বাণিজ্যসহ দেশ এগিয়ে যাবে সমৃদ্ধির দিকে-মহান মে দিবসে এ প্রত্যাশা সবার।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ