লেখক ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালকে হত্যাচেষ্টা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আরেক আসামির চারবছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বাকি চার আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরুল আমীন বিপ্লব এই রায় দেন।
রায়ে চার জনকে খালাস দেয়া হয়েছে। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, ফয়জুলের বাবা মাওলানা আতিকুর রহমান, মা মিনারা বেগম, মামা ফজলুল হক ও ভাই এনামুল হাসান।
এর আগে আসামিদের আদালতে হাজিরা করা হয়। বেলা ১২টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাদের আদালতে আনা হয়।
এর আগে সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মমিনুর রহমান টিটু জানান, গত ২২ মার্চ উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে সিলেট বিভাগীয় সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরুল আমীন বিপ্লব রায় ঘোষণার দিনক্ষণ নির্ধারণ করেন।
২০১৮ সালের ৩ মার্চ বিকেলে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মুক্তমঞ্চে একটি অনুষ্ঠান চলাকালে জাফর ইকবালের ওপর হামলা হয়। মাদ্রাসাছাত্র ফয়জুল হাসান ছুরি দিয়ে জাফর ইকবালের মাথা ও ঘাড়ে উপর্যপুরি আঘাত করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছাত্র-শিক্ষকরা হামলাকারী ফয়জুলকে হাতেহাতে ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেন।
পরে জাফর ইকবালকে আহত অবস্থায় প্রথমে এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে সেখান থেকে পাঠানো হয় ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে।
এই ঘটনায় শাবি রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন বাদী হয়ে সিলেটের জালালাবাদ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন।