মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ২২৭ আমরা গাজায় পরিণত হতে চাই না: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হজযাত্রীদের জন্য ‘লাব্বায়েক’ অ্যাপ উদ্বোধন প্রধান উপদেষ্টার প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত আইনজীবীদের কাছে চড়-থাপ্পড় খেলেন সাবেক আইনমন্ত্রী বজ্রপাতে পাঁচ জেলায় ১১ জনের মৃত্যু লন্ডন ম্যারাথনে নতুন বিশ্ব রেকর্ড উত্তেজনা নিরসনে যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান, পাকিস্তানের প্রতি সমর্থন চীনের শুধু সংস্কার নয় ঐক্যের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে: আলী রীয়াজ ঐকমত্যে আসা সংস্কার বর্তমান সরকারকে বাস্তবায়ন করতে হবে : নূর তরুণদের নিয়ে যুবদল-ছাত্রদলের ৪ বিভাগে বৃহত্তর কর্মসূচি যে কোন সময় পাকিস্তানে হামলা করবে ভারত : নিউইয়র্ক টাইমস ইশরাকের গেজেট প্রকাশের আগে মন্ত্রণালয়ের মতামতের অপেক্ষা করেনি ইসি পাকিস্তান–আফগানিস্তান সীমান্তে ৫৪ জন নিহত ইউক্রেন যুদ্ধে সেনা পাঠানোর কথা স্বীকার করল উত্তর কোরিয়া

জিকে শামীমের সাড়ে ৫ বছরের কারাদণ্ড, ২৯৭ কোটি টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : মার্চ ২৭, ২০২৫
জিকে শামীমের সাড়ে ৫ বছরের কারাদণ্ড, ২৯৭ কোটি টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত

অবৈধ ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমের পাঁচ বছর ৬ মাস সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় আদালত তাঁর মা আয়েশা আক্তারকে খালাস দিয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডের পাশাপাশি তাঁকে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন মাস বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন।

এ ছাড়া, জিকে শামীমের ২৯৭ কোটি ৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে জিকে শামীমের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে। তাঁর মা আয়েশা আক্তারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁকেও খালাস প্রদান করেন আদালত।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী বেলাল হোসেন এসব তথ্য জানান।

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় দুদক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম বলেন, ‘আসামির বিরুদ্ধে দুদক আইনের ২৭(১) ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাঁকে সাজা দিয়েছেন। আমরা মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। তারপরও বিজ্ঞ আদালত তাঁকে এই অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছেন। আমরা রায়ে সন্তুষ্ট। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে কিনা তা কমিশন সিদ্ধান্ত নিবে।’

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলাটি রায়ের জন্য ছিলো। ওইদিন জি কে শামীমের আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে পুনরায় জেরা করার আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন। মামলাটি রায় থেকে উত্তোলন করে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ধার্য করা হয়। এরপর তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা, আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থন শুনানি, সাফাই সাক্ষ্য এবং যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত ২০ মার্চ আবার রায়ের তারিখ ধার্য করা হয়।

এর আগে ২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর জি কে শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের বিরুদ্ধে ২৯৭ কোটি ৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. সালাহউদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

২০২২ সালের ১৮ অক্টোবর আদালত এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। যার মাধ্যমে আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়।

এজাহার থেকে জানা যায়, জি কে শামীম ২০১৮-২০১৯ করবর্ষ পর্যন্ত ৫০ কোটি টাকার স্থাবর সম্পদের মালিক হয়েছেন। এর মধ্যে আয়কর নথিতে ৪০ কোটি ২১ লাখ ৪০ হাজার ৭৪৪ টাকার তথ্য উল্লেখ করলেও মোট টাকার বৈধ উৎস পায়নি দুদক।

এছাড়া তার বাসা থেকে উদ্ধার করা নগদ ১ কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার টাকা ছাড়াও ৭ লাখ ৪৭ হাজার টাকার বিদেশি মুদ্রা, শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের নামে ১৬৫ কোটি ২৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকার এফডিআর, মায়ের নামে আরও ৪৩ কোটি ৫৭ লাখ ৪০ হাজার টাকার ব্যবসার অংশীদার এবং জি কে বি অ্যান্ড কোম্পানির শেয়ার, গাড়ি ও এফডিআর বাবদ ৩৬ কোটি ৩৫ লাখ ১৮ হাজার ৭১৯ টাকার অস্থাবর সম্পদের বৈধ উৎস পায়নি দুদক।

অনুসন্ধানে শামীমের মায়েরও বৈধ আয়ের কোনো উৎস খুঁজে পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ মোট ২৯৭ কোটি ৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক মামলাটি দায়ের করেন।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ