সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, জিয়াউর রহমানের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল।
বুধবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে কিশোরগঞ্জে জেলা সাহিত্য মেলায় প্রাধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা যখন দেখি তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়, তখন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিলেন জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। জাতির পিতার রক্ত জিয়াউর রহমানের হাতে। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রক্ত, তার স্ত্রী হাতে লাগিয়েছে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত কিশোরগঞ্জের কৃতী সন্তান আইভি রহমানসহ ২৪ জনের রক্ত তার ছেলে তারেক রহমানের হাতে। এই পরিবারের ধারাবাহিক ইতিহাস যদি আমরা দেখি বাবা হত্যাকারী, মা হত্যাকারী এবং সন্তানও হত্যাকারী হিসেবে চিহ্নিত।
তিনি আরও বলেন, আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর পর এক সন্তানহারা মাকে সান্ত্বনা দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেদিন খালেদা জিয়ার বাড়িতে গিয়েছিলেন। তখন খালেদা জিয়া শেখ হাসিনাকে ঘরে ঢোকার সুযোগ পর্যন্ত দেননি। কীভাবে দেবে যার হাতে জাতির পিতার রক্ত, প্রধানমন্ত্রীর রক্ত, যার হাতে আইভি রহমানের রক্ত তিনি আতঙ্কিত ছিলেন, সন্তানহারা মা হিসেবে কীভাবে মুখ দেখাবেন।
কে এম খালিদ আরও বলেন, সেদিন খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল শেখ হাসিনা তার ভ্যানিটি ব্যাগে করে গ্রেনেড এনে ২১ আগস্ট হামলা চালিয়েছিল। আজ ভাগ্যের নির্মম পরিহাস তিনি সাজাপ্রাপ্ত আসামি। শেখ হাসিনার অনুকম্পায় আজ তার সাজা স্থগিত করে বাড়িতে অবস্থান করতে হয়। ইতিহাস ফিরে ফিরে আসে, ইতিহাস মিথ্যা হয় না, ইতিহাস তার প্রতিশোধ আজ হোক কাল হোক নেবেই।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনের সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর, বাংলা একাডেমির সচিব এ এইচ এম লোকমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ পিপিএম (বার), জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এম এ আফজল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ও বাংলা একাডেমির সমন্বয়ে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে জেলা প্রশাসন।