শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১০:০৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
আবারও ফ্যাসিবাদের আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে: রিজভী গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিসিবির বিরুদ্ধে যে ক্ষোভ ঝাড়লেন তামিম বাংলাদেশে হিন্দু–মুসলমানে কোনো বিভেদ নাই: রুহুল কুদ্দুস দুলু ইনজুরিতে মাদ্রিদ ওপেন থেকে সরে দাঁড়ালেন আলকারাজ ‘তিন পার্বত্য জেলাকে কফি ও কাজুবাদামের দেশ বানাতে চাই’ ২৬ বছর পর ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে জড়ানোর শঙ্কা ‘স্থানীয় সরকার না থাকার কারণে জনগণ সাফার করছে’ ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ডিসেম্বরে নির্বাচন চায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ডিসেম্বরের বদলে জুনে ভোট হলে সমর্থন দেবেন না বিএনপি কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তান সেনাদের গোলাগুলি সিন্ধু চুক্তি স্থগিতের মধ্য দিয়ে ভারত পানিযুদ্ধ শুরু করেছে! সমাধান আলোচনাতেই: পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভারত–পাকিস্তানকে সর্বোচ্চ ধৈর্য ধরার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৬০

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলছে শিক্ষার্থীরা

পটুয়াখালী সংবাদদাতা
আপডেট : মে ২২, ২০২২

পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় এলাকাবাসী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একটি মাত্র বাঁশের সাঁকোর বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে যাতায়াত করে আসছে।

আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ মাধবপুর ডা. কমলেন্দু রায়ের বাড়ির উত্তর পার্শ্বে ও ইউসুফ রাড়ির বাড়ির পূর্ব পার্শ্বে কবিরখালি ‘খালের উপর নির্মিত এ বাঁশের সাঁকোটি এলাকার মানুষের পারাপারের একমাত্র সম্বল। বর্তমানে সাঁকোটি জরাজীর্ণ ও নড়বড়ে হয়ে যাওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, দক্ষিণ মাধবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লক্ষিপাশা সরকারি জুনিয়র মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাধবপুর এন কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কৃষিডিপ্লোমা এবং মহসেনউদ্দিন নূরিয়া ফাজিল মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রীদের একটিবড় অংশ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ সাঁকোর ওপর দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে। এছাড়া স্থানীয় এলাকাবাসী ও বিভিন্ন প্রয়োজনে উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি বাজার (হাজিরহাট, কাশিপুর, মিলঘর ও মাধবপুর) এবং ইউনিয়ন পরিষদে যাতায়াতের জন্য এই সাঁকো ব্যবহার করে থাকে। ফলে কৃষি কাজসহ নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় তাদের।

বিষয়টি স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের কাছে অনেকবার অবহিত করা হলেও তারা এ পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। একাধিক শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা জানান, সাঁকোটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার পরও শত ব্যস্ততার মাঝেও ছেলে মেয়েদের বাঁশের এ সাঁকো পার করে স্কুলে পাঠাতে হয়।

অনিতা, সরস্বতিসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, ঝুঁকিপূর্ণ এ সাঁকোটি পারাপার হতে তাদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। অনেক শিক্ষার্থী পা পিছলে সাঁকো থেকে খালের পানিতে পড়ে বইপত্র নষ্ট ও আহত হলেও ঝুঁকিপূর্ণ এ সাঁকোর স্থানে এখনও ব্রিজ বা কালভার্ট নির্মাণের ব্যবস্থা করা হয়নি।

আদাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম হাওলাদার বলেন, ‘এলাকাবাসীর কল্যাণসাধন এবং কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জন্য এই বাঁশের সাকোটির পরিবর্তে একটা কালভার্ট বা ব্রিজ নির্মাণের জন্য আমরা স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং এলজিইডি’কে অবহিত করেছি।

কোমলমতি শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে ঝুঁকিপূর্ণ এ বাঁশের সাঁকোর স্থানে অতি দ্রুত ব্রিজ বা কালভার্ট নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ