দুর্ভোগ যেন পিছু ছাড়ছে না সিলেট সুনামগঞ্জ অঞ্চলের মানুষের। মে-জুন মাস জুড়ে বন্যা সামলানোর পর চলতি জুলাই মাসের শেষ দিকে আবারও বন্যার আশংকা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নদীর প্রবাহ ঠিক করতে না পারলে বন্যার ভয়াহতা মোকাবেলা করা কঠিন হবে।
প্রতি বছর জুন-জুলাই মাসজুড়ে বৃষ্টি আর উজানের ঢলে দেশের নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পায়, তাতে প্লাবিত হয় নদী তীরের নিুাঞ্চল। নদীর প্রবাহ স্বাভাবিক থাকলে অল্প সময়ের মধ্যে পানি নেমে যায়। তবে সিলেট-সুনামগঞ্জে এবারের বন্যার পানি কমতে সময় লাগে। এবারের মতো ভয়াবহ বন্যা এর আগে আর দেখেনি ওই অঞ্চলের মানুষ। অস্বাভাবিক বেশি মাত্রায় বৃষ্টি ও উজানের ঢলে জুন মাসজুড়ে সিলেট সুনামগঞ্জ ডুবে থাকে বানের পানিতে।
প্রকৃতির এমন আচরণ কেন জানতে চাইলে, বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের কর্মকর্তারা বলেন, নব্বইয়ের দশকের পর এ বছর ভারতের চেরাপুঞ্জীতে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে। অতিমাত্রার বৃষ্টির পানি ধারণ করার ক্ষমতা সেখাকার হাওর এবং নদীগুলোর নেই। ফলে ওই পানি নেমে ভাটির অঞ্চল সিলেটে অল্প সময়েই বন্যা ভয়ঙ্কর রূপ নেয়।
আগামী ২ সপ্তাহ বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হলেও জুলাইয়ের শেষ নাগাদ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় আবারও বন্যা দেখা দিতে পারে বলেও জানান বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান।
গবেষকরা বলছেন, নিয়মিত নদী ও খাল খনন না হওয়ায় উজানের পানি নামতে বাঁধা পাচ্ছে। ফলে বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে।
নদী খনন ও বন্যা নিয়ন্ত্রণে আলাদা অধিদপ্তর করার প্রস্তাব করেন তিনি।