সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে কথা বললেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) এক ফোনালাপে বৈশ্বিক তেলের বাজারসহ অন্যান্য বিষয়ে কথা বলেন এ দুই নেতা।
এক বিবৃতিতে ক্রেমলিন জানায়, দুই দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং ওপেক+ গ্রুপে নিজেদের অব্যাহত সহযোগিতার প্রশংসা করেছেন। কদিন আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন তেলের জন্য সৌদি আরবে গিয়ে যুবরাজের সামনে একপ্রকার নতজানু হয়েছিলেন।
রুশ গণমাধ্যম রাশিয়া টুডে জানায়, ক্রেমলিনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে- বিশ্বব্যাপী জ্বালানি বাজারে ভারসাম্য ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য ‘নিরবিচ্ছিন্নভাবে বাধ্যবাধকতা পূরণ করছে’ রাশিয়াসহ পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক দেশগুলির সংস্থা ওপেক+।
এদিন যুবরাজ সালমান এবং পুতিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা করেছেন। পারস্পরিক উপকারী বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের ওপরও আলোকপাত করেন দুই নেতা।
এর আগে চলতি বছরের মে মাসে রিয়াদ জানিয়ে দিয়েছিল, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক পদক্ষেপ রাশিয়া বা ইউক্রেনের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ককে প্রভাবিত করবে না। কারণ সৌদি আরব উভয় দেশের সঙ্গে তার ব্যাপক বাণিজ্য সম্পর্ক বজায় রাখার পক্ষপাতী ছিল।
ক্রেমলিন আরও জানায়, সিরিয়ার পরিস্থিতি নিয়েও দুই নেতা নিজেদের মধ্যে মত বিনিময় করেছেন। গেল মঙ্গলবার তেহরানে এরদোগান ও রাইসির সঙ্গে এক সম্মেলনে পুতিন আমেরিকাকে সিরিয়ায় ‘লুটপাট’ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। শত শত আমেরিকান সৈন্য এখনও সিরিয়ায় উপস্থিত রয়েছে। সেখানে তারা দেশটির উত্তর-পূর্বে তেলের কূপ এবং গমের ক্ষেত্র নিয়ন্ত্রণ করে আসছে।
মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনেও এই ফোনালাপের খবর প্রকাশিত হয়েছে। সেই প্রতিবেদনে, ওয়াশিংটন ও রিয়াদের মধ্যে সম্পর্ক ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ে রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। গণমাধ্যমটি জো বাইডেন এবং যুবরাজ সালমানের মধ্যে ব্যক্তিগত শত্রুতা সম্পর্কের অবনতির গুরুত্বপূর্ণ কারণ বলে উল্লেখ করেছে।