ভারতের আলোচিত ২০০ কোটি রুপি আর্থিক প্রতারণার মামলায় বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে দেশটির এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এই তারকার ৭ কোটি রুপির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে সংস্থাটি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, ইডি জ্যাকুলিনের ৭ দশমিক ২৭ কোটি রুপির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। যার মধ্যে ৭ দশমিক ১২ কোটি রুপি হলো এফডি। ইডির অনুমান, সুকেশ প্রতারণার টাকা থেকে জ্যাকুলিনকে ৫ দশমিক ৭১ কোটি রুপি দিয়েছিলেন।
কিন্তু কে এই সুকেশ চন্দ্রশেখর যাঁর প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিলেন জ্যাকলিনের মতো বলিউডের বোল্ড ও সুন্দরী নায়িকা। বেঙ্গালুরুর ছেলে সুকেশ মাত্র ১৭ বছর বয়স থেকেই শুরু করে চাদাঁবাজির ব্যবসা। বিভিন্ন জালিয়াতি মামলায় নাম জড়ানোর পর বেঙ্গালুরু থেকে চেন্নাই চলে আসে এই প্রতারক। সেখানেও একই রকম আর্থিক জালিয়াতি শুরু করে সে।
কিছুদিন আগেই তাঁকে গ্রেফতার করে দিল্লী পুলিশ। তার বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে ১৫টি এফআইআর। আর্থিক প্রতারণা মামলায় সম্প্রতি ইডি বাজেয়াপ্ত করেছে চেন্নাইয়ে সমুদ্রের পাড়ে তার ৮২ লক্ষের বাংলো, বেশ কয়েকটি অভিজাত গাড়ি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিহার জেলের ভিতর থেকে চাদাঁবাজির একটি ব়্যাকেট চালায় সুকেশ, যারা ইতিমধ্যেই ২০০ কোটি টাকা চাদাঁবাজি করেছে।
জানা গেছে, জ্যাকুলিনকে দেওয়া উপহারের তালিকায় রয়েছে গয়না, পাঁচটি ব্যাগ, ঘড়ি, চিনামাটির পাত্র, চারটি পার্সিয়ান বিড়াল (একটির মূল্য ৯ লাখ রুপি) এবং ৫২ লাখ রুপি মূল্যের ঘোড়া। এ ছাড়াও জ্যাকুলিনের বোনকে বিএমডব্লিউ ও তার মাকে প্রায় দেড় কোটি রুপি মূল্যের একটি গাড়িসহ মোট ১০ কোটি রুপির উপহার দিয়েছেন প্রতারক সুকেশ।
কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার দাবি, সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে জ্যাকলিনের আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। সুকেশ একটি ৫২ লাখ টাকা দামের একটি ঘোড়া ও ৯ লাখ টাকা দামের চারটি পার্সিয়ান বিড়াল জ্যাকলিনকে উপহার দিয়েছেন। সবমিলিয়ে ১০ কোটি টাকার উপহার দিয়েছেন জ্যাকলিনকে। জ্যাকলিনের পাশাপাশি নোরা ফতেহিরও নাম জড়িয়েছে এই মামলায়। তাঁকে একটি দামি গাড়ি উপহার দিয়েছেন সুকেশ। কিন্তু নোরা অস্বীকার করেন সেই অভিযোগ।
এর আগে একাধিকবার ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন জ্যাকুলিন। তিনি জানান, তদন্তের প্রক্রিয়ায় সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবেন। শুরুতে অবশ্য সুকেশের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছিলেন ‘বচ্চন পাণ্ডে’ খ্যাত এই অভিনেত্রী।