দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে একটু পিছিয়ে থাকলেও পরের তিন দিনে ব্যাটে-বলে দাপট দেখিয়েছে বাংলাদেশই। আর নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৬৮ রানের লিড নেয়ার পর চতুর্থ দিন শেষে লঙ্কানদের দুই ব্যাটারকে সাজঘরে পাঠিয়ে এখন জয়ের স্বপ্নই দেখছেন রাসেল ডোমিঙ্গোর শিষ্যরা।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার করা ৩৯৭ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে দুই সেঞ্চুরি এবং দুই হাফ-সেঞ্চুরিতে ৯ উইকেটে ৪৬৫ রান করে ইনিংস করে টাইগাররা। দ্বিতীয় ইনিংসে শেষ বিকেলের খেলায় ৩৯ রান তুলতেই দুই উইকেট হারিয়েছে লঙ্কানরা। ফলে এখনও ২৯ রানে এগিয়ে রয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।
শেষ বিকেলে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটা খারাপ ছিল না শ্রীলঙ্কার। কিন্তু ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয়েছে ওপেনার ওশাদা ফার্নান্দোকে। আউট হওয়ার আগে করেন ১৯ রান। আর দ্বিতীয় উইকেটের ব্যাট করতে নেমে তাইজুল ইসলামের বলে আউট হওয়ার আগে মাত্র ২ রান করতে পেরেছেন লাসিথ এম্বুলদেনিয়া। এখন ১৮ রানে অপরাজিত রয়েছেন দলনেতা দিমুথ করুনারত্নে।
ম্যাচের তৃতীয় দিনশেষে বাংলাদেশ করেছিল ৩ উইকেটে ৩১৮ তুলেছিল বাংলাদেশ। ওই দিন ৫৩ রানে মুশফিক ও ৫৪ রানে লিটন অপরাজিত ছিলেন। প্রথম সেশন শেষে এখনও এদিন কোনো উইকেট হারাতে হয়নি বাংলাদেশকে।
লিটন-মুশফিক দুজনই ছিলেন সেঞ্চুরির পথে। কিন্তু সেঞ্চুরির কাছাকাছি এসেও সেটা পূরণ করতে পারলেন না লিটন। লাঞ্চ বিরতি থেকে ফিরে প্রথম বলেই আউট হয়ে ফিরতে হয়েছে তাকে। আউট হওয়ার আগে করেন ৮৮ রান। ১৮৯ বলে খেলা তার এই ইনিংসটি ১০টি চারে সাজানো।
লিটন আউট হওয়ার পর আবারও ব্যাট করতে আসেন রিটায়ার্ড হার্ডে মাঠ ছাড়া টাইগার ওপেনার তামিম ইকবাল খান। কিন্তু সুবিধা করতে পারলেন না তিনি। ক্রিজে নেমে প্রথম বলেই বোল্ড হয়েছেন তামিম। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৩৩ রান।
টানা দুই উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ দলের কিছুটা ছন্দপতন ঘটে। এ সময় ষষ্ঠ উইকেটে সাকিবকে সঙ্গে নিয়ে দলকে চাপমুক্ত করেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু সাকিব তাকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি। ফিরেছেন ব্যক্তিগত ২৫ রানে।
এরপর নাঈমকে নিয়ে নিজের সেঞ্চুরির পথে এগোচ্ছিলেন মুশফিক। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের মাধ্যমে নিজের সেঞ্চুরির পেয়ে যান তিনি। তবে ইনিংসটি ঘোষণা করা হয়নি। এম্বুলদেনিয়ার লেগ স্ট্যাম্প বরাবর করা বলে সুইপ করতে চেয়েছিলেন মুশফিক। কিন্তু সরাসরি লেগ স্ট্যাম্প বল লাগলে আউট হন তিনি। ২৮২ বলে ৪ চারে মুশফিকের ইনিংস থামে ১০৫ রানে।
এরপর নাঈম হাসান ৯ রানে এবং তাইজুল ইসলাম ২০ রানে আউট হন। আর শরিফুল ইসলাম রিটায়ার্ড হার্ট হন ৩ রানে। এদিকে শূন্যরানে অপরাজিত থাকেন খালেদ আহমেদ।