বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:২৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
‘যারা শহীদ হয়েছে তাদের রক্তে সাথে বেইমানি করা যাবে না’ নরেন্দ্র মোদী পুণ্যস্নান করলেন ত্রিবেণী সঙ্গমে ‘দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে প্রত্যাখ্যান করেছে’ চার প্রদেশ ও নতুন দুই বিভাগের প্রস্তাব সংস্কার কমিশনের অনির্বাচিত সরকার কখনো নিরাপদ না: জামায়াতের নায়েবে আমির আখেরি মোনাজাতে শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন দাখিল সরে দাঁড়িয়েছেন মেয়েদের জাতীয় দলের প্রধান কোচ থানায় হামলাকারীদের বিচারের আওতায় আনা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হত্যা মামলায় শাহজাহান ওমরসহ তিনজন গ্রেপ্তার যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে থাকবে গাজা উপত্যকা: ট্রাম্প সুইডেনে স্কুলে গুলি, নিহত ১০ তাপমাত্রার সাথে বাড়বে কুয়াশার দাপট উত্তরবঙ্গের সব পেট্রল পাম্প অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা সবাই খালাস

টিকা কেনায় প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকার গরমিল: টিআইবি

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : এপ্রিল ১২, ২০২২

দেশে করোনার টিকা কেনায় প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকার গরমিল পাওয়া গেছে বলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক গবেষণায় উঠে এসেছে।

আজ মঙ্গলবার ‘করোনাভাইরাস সংকট মোকাবিলায় সুশাসন: অন্তর্ভুক্তি ও স্বচ্ছতার চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় টিআইবি।

প্রতিবেদনে টিআইবি বলছে, চলতি বছরের ৭ই ফেব্রুয়ারি গণমাধ্যমে স্বাস্থ্যমন্ত্রী তার বক্তব্যে করোনা টিকা ক্রয়ে ব্যয় ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি বলে উল্লেখ করেন।

পরবর্তী সময়ে গণমাধ্যম থেকে জানা গেছে, চলতি বছরের ৩১শে মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন উৎস থেকে প্রায় ২৯ কোটি ৬৪ লাখ ডোজ টিকা পাওয়া গেছে। বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যে, দ্বিপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে সরকারিভাবে ক্রয় করা হয়েছে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ ডোজ টিকা, কোভ্যাক্স কস্ট শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে ৮ কোটি ৭০ লাখ ডোজ, বিভিন্ন দেশের সরকার ও কোভ্যাক্স থেকে অনুদানের মাধ্যমে প্রায় ১১ কোটি ৭০ লাখ ডোজ টিকা বিনা মূল্যে পাওয়া গেছে।

এ ক্ষেত্রে কোভিশিল্ড প্রতি ডোজ ৫ ডলার হিসেবে ৪২৫ টাকা, সিনোফার্ম ১০ ডলার হিসেবে ৮৫০ টাকা এবং কোভ্যাক্স কস্ট শেয়ারিংয়ের টিকা সাড়ে ৫ ডলার হিসেবে ৪৬৭ টাকা ৫০ পয়সা হিসাবে ধরে আনুমানিক টিকার খরচ দাঁড়ায় ১১ হাজার ২৫৪ কোটি ৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ ৮ হাজার ৭৪৬ কোটি টাকার হিসাবে গরমিল রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টিকা কার্যক্রমে জবাবদিহির ঘাটতি ছিল। গবেষণায় পর্যবেক্ষণ করা ৪৫টি স্থায়ী টিকাকেন্দ্রের মধ্যে ৩৫টি কেন্দ্রে অভিযোগ বাক্স ছিল না, ৪০টি কেন্দ্রে অভিযোগ কেন্দ্র ছিল না এবং ৩৯টি কেন্দ্রে অভিযোগ জানানোর নম্বর প্রদর্শন করা ছিল না। অব্যবস্থাপনা ও অনিয়ম-দুর্নীতির শিকার হওয়া টিকা গ্রহীতাদের দেড় শতাংশ অভিযোগ করেছেন।

যারা অভিযোগ করেননি, তাদের ৪৪ দশমিক ১ শতাংশ বলেছেন, অভিযোগ ব্যবস্থা সম্পর্কে তাঁদের কোনো ধারণা নেই। ৩০ দশমিক ১ শতাংশ বলেছেন, কেন্দ্রে অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা ছিল না।

প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, ২০২১ সালের জুলাই মাসে গণমাধ্যমে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে টিকা প্রতি ৩ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। পরবর্তীতে ২০২২ সালের ১০ মার্চ গণমাধ্যমে টিকা কার্যক্রমে মোট ব্যয় ৪০ হাজার কোটি টাকা বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ