প্রায়ই বিরাট কোহলির সঙ্গে বাবর আজমকে তুলনা করা হয়। দুজনই বিশ্ব ক্রিকেটের সেরা ব্যাটার সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। তবে রোববার (২৩ অক্টোবর) টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ‘জিতেছেন’ কোহলি। ঐতিহ্যবাহী মেলবোর্নে পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতকে অবিস্মরণীয় জয় এনে দিয়েছেন তিনি।
মূলত দুই দলের মধ্যে ব্যবধান গড়ে দিয়েছে কোহলির প্রেরণাদায়ী ব্যাটিং। পরিপ্রেক্ষিতে বাবর বলেন, প্রথম ১০ ওভারে আমাদের বোলাররা অসাধারণ বল করেছেন। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জয়ে ভারতের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন বিরাট ও হার্দিক (পান্ডিয়া)।
কোহলির প্রসঙ্গ উঠতেই তার প্রশংসায় মুখর হয়ে ওঠেন বাবর। তিনি বলেন, বিরাট দেখিয়ে দিয়েছে। এটি তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ম্যাচ হয়েছে। ক্রিকেটপ্রেমীরা তা উপভোগ করেছেন।
তিন বছর ধরে ফর্মে না থাকায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন কোহলি। পাক অধিনায়ক মনে করেন, এ ইনিংস কোহলির মনোবল আরো বাড়িয়ে দেবে।
বাবর বলেন, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে সবসময় বাড়তি চাপ থাকে। যত তাড়াতাড়ি আপনি সেটি কাটাতে পারবেন ততই ভালো। এ কারণেই কোহলি বড় খেলোয়াড়। তার ওপর প্রচুর চাপ ছিল। তিনি সেটি অতিক্রম করতে পেরেছেন এবং ইনিংস গড়তে সক্ষম হয়েছেন। পান্ডিয়ার সঙ্গে তার গড়া পার্টনারশিপই ছিল ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট।
তিনি বলেন, এ ইনিংস কোহলির আত্মবিশ্বাসকে আরো সংহত করবে। এ ধরনের ম্যাচে যখন আপনি জিতবেন, তখন মানসিকভাবেও স্বস্তিবোধ করবেন।
পেসারদের কোটা শেষ হয়ে যাওয়ার পর ২০তম ওভারে বাঁহাতি স্পিনার মোহাম্মদ নওয়াজকে নিয়ে আসাটা অনিবার্য হয়ে গিয়েছিল উল্লেখ করে বাবর বলেন, যখন (বিরট-পান্ডিয়া) জুটি দাঁড়িয়ে গিয়েছিল, তখন আমাদের জন্য উইকেট শিকারের গুরুত্ব আরো বেড়ে যায়। আমি তখন মূল বোলারদের দিয়ে তাদের চাপে ফেলার চেষ্টা করি। তবে ওই পরিকল্পনা কাজে আসেনি। তখনই ভাবলাম পরবর্তীতে এমন পরিস্থিতির জন্য নওয়াজ হয়তো কিছু শিখতে পারবে। তখন সে বুঝতে পারবে তার কি করতে হবে।
টুর্নামেন্ট সবে শুরু হয়েছে। তাই শুরুর এ পরাজয় নিয়ে বসে থাকা যাবে না বলে স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দেন বাবর।
তিনি বলেন, আমাদের আত্মবিশ্বাস ধরে রাখতে হবে। এ পরাজয় থেকে শিক্ষা নিতে হবে। এখানে ভালো খারাপ দুটিই ছিল। টুর্নামেন্ট সবে শুরু হয়েছে। তাই এখান থেকে নেয়া শিক্ষা টুর্নামেন্টের পরের ম্যাচে কাজে লাগাতে হবে। যত তাড়াতাড়ি আমরা এটি কাটিয়ে উঠতে পারব ততই ভালো। আমাদের পর পর ম্যাচ রয়েছে এবং সেদিকে মনোযোগ দিতে হবে।