ঈদে ঘরমুখো মানুষের রেলের টিকিট নিয়ে হাহাকার চরম আকার ধারণ করেছে। অগ্রিম টিকিট বিক্রির শুরুর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে কাউন্টার । অন্যদিকে, অনলাইনে প্রায় তের হাজার টিকিট বিক্রি হয় দুই মিনিটের মধ্যেই।
যাত্রীদের অভিযোগ, টিকিট বিক্রিতে অনিয়ম করছে সংশ্লিষ্টরা। যদিও এমন অভিযোগ নাকচ করেছেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
আগাম টিকিট বিক্রির চতুর্থ দিনেও উন্নতি হয়নি ব্যবস্থাপনার। তাই কমেনি দুর্ভোগ। এবার শৃঙ্খলার কোনো বালাই নেই অভিযোগ টিকিট প্রত্যাশীদের।
আজ মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে চতুর্থদিনের মতো ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়। দেয়া হচ্ছে ৩০ এপ্রিলের। তবে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে টিকিট বিক্রিতে ধীরগতি সকাল থেকে।
এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন রাত থেকে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষায় থাকা ব্যক্তিরা। অনেকে কাঙ্খিত টিকিট না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন। কারো কারো অভিযোগ শত চেষ্টায়ও টিকিট মিলছে না অনলাইনে।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, এদিন টিকিট প্রত্যাশীরাই লাইনে সিরিয়াল লিখে রাখছেন। সবাই যাতে সিরিয়াল মেইনটেইন করতে পারে এটাই তাদের লক্ষ্য। লাইন ভেঙে কেউ দাঁড়াতে চাইলেই পেছন থেকে অন্য টিকিট প্রত্যাশীরা চিৎকার দিয়ে উঠছেন। এতে কেউ লাইনের আগে যেতে সাহস করছেন না।
এছাড়া স্টেশন এলাকায় লাইন ঠিক রাখতে একটু পরপর বাঁশি বাজিয়ে সবাইকে সতর্ক করছেন রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী বা আরএনবি। কালো বাজারে যাতে কোনো টিকিট বিক্রি না হয় এজন্য স্টেশন এলাকায় রয়েছে র্যাব, পুলিশ, ডিএমপি পুলিশসহ আনসার সদস্যরা। র্যাব-পুলিশের বুথও রয়েছে স্টেশন এলাকায়।
এবার কমলাপুর ছাড়াও রাজধানীর আরো চারটি স্থান থেকে টিকিট বিক্রি হচ্ছে।