ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আসছে ২৩ এপ্রিল থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে। আর ফিরতি যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরু হবে ১ মে থেকে।
ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রার সুবিধার্থে ৬ জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
এছাড়া বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচলরত সব আন্তঃনগর ট্রেনের ডে-অফ বাতিল করা হয়েছে।
বুধবার (১৩ এপ্রিল) ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকেট বিক্রি নিয়ে রেল ভবনের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানালেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
এ সময় তিনি বলেন, ট্রেনে যাতায়াতে টিকেট ক্রয় করার সময় অবশ্যই পরিচয়পত্র দেখাতে হবে। একজন চারটি টিকেট কিনতে পারবে, সেক্ষেত্রে অন্য তিনজনের জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে জন্ম নিবন্ধন সনদ অথবা স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্য কোনো আইডিকার্ড দেখাতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, একজনের পরিচয়পত্র দিয়ে টিকেট কেটে অন্য কেউ ভ্রমণ করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তার টিকেট বাতিল বলে গণ্য হবে। জরিমানা গুণতে হবে।
‘টিকেট যার ভ্রমণ তার’ এই স্লোগান নিয়ে এবারের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম সনদ বা অন্য যে কোনো আইডি দিয়ে টিকেট কেনা বাধ্যতামূলক।
এ সময় রেলমন্ত্রী বলেন, ঈদের সম্ভব্য দিন ৩ মে ধরে অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে। সেই হিসেবে ২৭ এপ্রিলের টিকিট ২৩; ২৮ এপ্রিলের টিকিট ২৪; ২৯ এপ্রিলের টিকিট ২৫; ৩০ এপ্রিলের টিকিট ২৬ ও ১ মের টিকিট ২৭ এপ্রিল বিক্রি করা হবে।
জানা গেছে, ঈদ যাত্রার বিশেষ ট্রেনগুলোর মধ্যে চাঁদপুর স্পেশাল ১ ও ২ ট্রেন চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রোডে ঈদের আগে ২৯ এপ্রিল থেকে ১ মে এবং ঈদের পর ৪-৮ মে পর্যন্ত চলবে। অন্যদিকে দেওয়ানগঞ্জ স্পেশাল ট্রেন ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা রোডে ২৯ এপ্রিল থেকে ১ মে ও ঈদের পর ৪-৮ মে পর্যন্ত চলবে। খুলনা স্পেশাল (মৈত্রী রেক দিয়ে) খুলনা-ঢাকা-খুলনা রোডে ২৯ এপ্রিল থেকে ১ মে পর্যন্ত চলবে।
এছাড়া সোলাকিয়া স্পেশাল- ১ ট্রেন ভৈরববাজার-কিশোরগঞ্জ-ভেরববাজার রোডে ও সোলাকিয়া স্পেশাল-২ ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রোডে শুধুমাত্র ঈদের দিন চলবে।