মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যম বিবিসি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের লাইভ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ‘রাশিয়ার সেনাবাহিনীর একটি ‘উল্লেখযোগ্য অংশ’ এখন পূর্ব ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দিকে মনোনিবেশ করছে।’ মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) গার্ডিয়ানের সরাসরি প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
রাশিয়া পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চল দখল করতে বড় পরিসরে আক্রমণ শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কি বলেন, ‘ডনবাসের জন্য রাশিয়ান সেনাবাহিনী লড়াই শুরু করেছে, এর জন্য অনেক দিন থেকে তারা প্রস্তুতি নিচ্ছিলো।’ এক ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘সেখানে যত সংখ্যক রুশ সেনা নেওয়া হোক না কেন, আমরা লড়াই করবো। আমরা আমাদের রক্ষা করবো, আমরা প্রতিদিন এটা করবো।’
দোনেৎস্ক, লুহানস্ক এবং খারকিভ অঞ্চলের কথা উল্লেখ করে ইউক্রেনের জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা কাউন্সিলের প্রেস সার্ভিসের সচিব ওলেক্সি দানিলভ জানান, সম্মুখসারি বরাবর রাশিয়ার আক্রমণের একটি সক্রিয় পর্যায় প্রায় শুরু হয়েছে।
গত ২৪ ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পর আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত টানা ৫৫ দিনের মতো চলছে দেশ দুইটির সংঘাত। এতে দুই পক্ষের বহু হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে যুদ্ধ বন্ধের কোন লক্ষণ আজ অবধি নেই।
উল্লেখ্য যে, পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য ২০০৮ সাল থেকে আবেদন করে ইউক্রেন। মূলত, এ নিয়েই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। তবে সম্প্রতি ন্যাটো ইউক্রেনকে পূর্ণ সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করায় দ্বন্দ্বের তীব্রতা আরও বাড়ে। ন্যাটোর সদস্যপদের আবেদন প্রত্যাহারে চাপ প্রয়োগ করতে যুদ্ধ শুরুর দুই মাস আগ থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রাখে মস্কো। কিন্তু এই কৌশল কোনো কাজে না আসায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। ঠিক তার দুদিন পর ২৪ তারিখ ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এই হামলা শুরু করে।