শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
দেশে শক্তিশালী উদ্ভাবনী সংস্কৃতি গড়ে তোলায় গুরুত্বারোপ প্রধান উপদেষ্টার রোমে বাংলাদেশ হাউস পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা জুলাই গণঅভ্যুত্থান: এখনো শেষ হয়নি কোনো মামলার তদন্ত মার্কিন পণ্যে চীনের শুল্কছাড়ের খবরে কমলো স্বর্ণের দাম দেশে স্বর্ণের বিক্রি কমেছে ৫০-৬০ শতাংশ ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল: দেশে আমদানি-রপ্তানিতে নতুন সম্ভাবনা পেহেলগামকাণ্ডে আন্তর্জাতিক তদন্ত চায় পাকিস্তান নিজ দেশেই বিমান হামলা চালালো ভারত ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় ৮৪ ফিলিস্তিনি নিহত গাজার মানুষ দুর্ভোগে আছে, নেতানিয়াহুকে ট্রাম্প আইপিএলে ফিক্সিংয়ের ভিডিও ফাঁস করলেন পাকিস্তানি ক্রিকেটার আবারও ফ্যাসিবাদের আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে: রিজভী গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিসিবির বিরুদ্ধে যে ক্ষোভ ঝাড়লেন তামিম বাংলাদেশে হিন্দু–মুসলমানে কোনো বিভেদ নাই: রুহুল কুদ্দুস দুলু ইনজুরিতে মাদ্রিদ ওপেন থেকে সরে দাঁড়ালেন আলকারাজ

ডিপোতে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড মজুদ নিয়ে প্রশ্ন

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : জুন ৭, ২০২২
ডিপোতে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড মজুদ নিয়ে প্রশ্ন

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ভয়াবহ আগুন নেভানোর পথে বড় বাধা হয়েছে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড ভর্তি কন্টেইনারগুলো। এসব রাসায়নিক দ্রব্য ডিপোর কন্টেইনারগুলোয় মজুদ করা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। এক্ষেত্রে অনিয়ম কিংবা গাফিলতি পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম বন্দরের ১৯টি অফ ডকের মধ্যে বিএম কন্টেইনার ডিপো একটি। শনিবার রাতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনার পর এ অফ ডকের নানা অনিয়ম ও কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ডিপোতে হাইড্রোজেনর পার অক্সাইড এর মত দাহ্য পদার্থ রাখার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রচলিত আইনের নানা ফাঁকফোকর ব্যবহার করে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড ভর্তি কয়েকটি কন্টেইনার এখানে রাখা হয়েছিল। এ ধরনের মজুদ বিস্ফোরক দ্রব্য আইন অনুযয়ী নিষিদ্ধ। আবার কাস্টমস আইন বা বন্দরের অফ ডক আইনে তাতে বাধা নেই।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা বলছেন, অগ্নিকাণ্ডের পর কন্টেইনার ডিপো কর্তৃপক্ষ সেখানে দাহ্য রাসায়নিক পদার্থ থাকার বিষয়টি না জানানোয় আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। উল্টো একের পর এক বিস্ফোরণ এর ঘটনা ঘটেছে। প্রশ্ন উঠেছে, কেন একথা গোপন রাখা হলো?

ডিপোটিতে অভিযান চালিয়ে সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ দল সোমবার নিশ্চিত হয় যে রাসায়নিক ভর্তি আরও চারটি কন্টেইনার সেখানে রয়েছে। এটি জানার পরপরই অগ্নিনির্বাপণ কৌশল পাল্টানো হয়।

বিস্ফোরণের ঘটনায় ডিপো কর্তৃপক্ষের দায় আছে কি না তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান। তবে বিএম কন্টেইনার ডিপোর মালিকপক্ষ এই অগ্নিকাণ্ডকে নিছকই দুর্ঘটনা হিসেবে দাবি করেছে।

এই অগ্নিকাণ্ডে তৈরি পোশাক খাতের আমদানি-রপ্তানি পণ্য বোঝাই বহু কন্টেইনার পুড়ে যাওয়ায় এই শিল্প একটি সংকটের মুখে পড়েছে।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ