ঢাকায় টানা তিন দিন ধরে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। সারা দেশে গেল ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হওয়া ২২ জনের মধ্যে ১৩ জনই ঢাকা জেলার।
এর আগে, গতকাল করোনা আক্রান্ত ১৮ জনের মধ্যে অর্ধেকেই ছিল ঢাকা জেলার। গেল বৃহস্পতিবার সারা দেশে করোনা আক্রান্ত হয় ৫৩ জন। এর মধ্যে ৪৩ জনই ঢাকা জেলার।
এদিকে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে কারও মৃত্যু হয়নি। এ নিয়ে টানা ২৩ দিন দেশে কোনো করোনা রোগী মারা যায়নি। গত ২০শে এপ্রিল করোনা আক্রান্ত হয়ে দেশে একজনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর আর কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। ফলে করোনায় মৃতের সংখ্যা দেশে ২৯ হাজার ১২৭ জনই রয়েছে।
শনিবার (১৪ই মে) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
একই সময়ে করোনা আক্রান্ত হিসেবে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ২২ জন। তাদের মধ্যে ১৩ জনই ঢাকার বাসিন্দা। অন্য নয় জনের মধ্যে সিলেটের ৮ জন এবং নারায়ণগঞ্জের এক জন। এছাড়া দেশের বাকি জেলাগুলোতে আর কারও করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া যায় নি। এ নিয়ে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৯ লাখ ৫২ হাজার ৯৭৯ জনে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি ৮৭৯টি ল্যাবরেটরিতে চার হাজার ৯৪৮টি নমুনা সংগ্রহ ও নমুনা পরীক্ষা করা হয় চার হাজার ৯৬৫টি। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৫৫ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯১ শতাংশ।
এদিকে, একদিনে করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ২২০ জন। এ নিয়ে দেশে করোনা থেকে সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১৮ লাখ ৯৯ হাজার ১৫০ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনার সংক্রমণ দেখা দেয়। কয়েক মাসের মধ্যে এ ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে প্রথম করোনা সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ই মার্চ। তবে, প্রথম মৃত্যু হয় একই বছরের ১৮ই মার্চ। গত বছরের ৫ ও ১০ই আগস্ট দুদিন সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।