আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা জেলার ২০টি আসনে দলের যোগ্য প্রার্থীর খোঁজ করছে আওয়ামী লীগ। সাংগঠনিক ব্যর্থতা, বয়স বেশি হওয়াসহ নানা কারণে বর্তমান এমপিদের মধ্যে অনেকেই বাদ পড়তে পারেন বলে জানিয়েছেন দলের নীতি নির্ধারকরা।
ঢাকা জেলায় সংসদীয় আসন ২০টি। বর্তমানে ১৭টি আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় সংসদ সদস্য রয়েছেন। বাকি তিন আসনে জাতীয় পার্টির দুজন এবং ১৪ দলের শরিক দল ওয়ার্কার্স পাটির একজন।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এখনও বছর দেড়েক বাকি থাকলেও ঢাকার আসনগুলো নিয়ে পরিকল্পনা সাজাচ্ছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। দলীয় সংসদ সদস্যদের বিগত দিনের কর্মকান্ড মূল্যায়ন করছে দলের নীতি নির্ধারকরা। বেশ কয়েকজনের সাংগঠনিক কর্মকান্ডে অসন্তোষ রয়েছে। আবার অনেকে বয়স এবং শারীরিক অসুস্থতার জন্যও সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারছে না। ঢাকা-৫, ১৪ এবং ১৮ আসনের উপ-নির্বাচনে যারা বিজয়ী হয়েছেন, তাদের কার্মকান্ড নিয়েও সমালোচনা আছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে এসব বিষয় গুরুত্ব পাবে বলে জানান আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ফারুক খান।
ঢাকা ৭ আসনের এমপি হাজী সেলিম দুর্নীতির দায়ে দন্ডিত হওয়ায় আগামী নির্বাচনে এই আসনে দলের অন্য কারো মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। নাম দেখে নয়, যোগ্যতার বিচারে প্রার্থী বাছাই করা হবে বলে জানান আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক।
তবে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে গেলে কয়েকটি আসন শরিকদের ছেড়ে দিতে পারে আওয়ামী লীগ এমন আলোচনাও রয়েছে দলের নীতি নির্ধারনী ফোরামে।
ঢাকার ২০ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যদের অনেকেই আগামীতে মনোনয়ন না পাওয়ার ঝুঁকিতে, নতুন প্রার্থী খুঁজছেন নীতি-নির্ধারকরা।