তীব্র তাপদাহে নাকাল হয়ে পড়েছে ভারত ও পাকিস্তানের জনজীবন। ভারতের রাজধানী দিল্লিসহ বিভিন্ন অঞ্চলে তাপদাহ অব্যাহত রয়েছে। যদিও উল্টোচিত্র আসামে। সেখানে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার জনে। এদিকে, পাকিস্তানের জ্যাকোবাবাদে তাপমাত্রা পৌঁছেছে ৫১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। অন্যদিকে, ধুলিঝড়ের কারণে ইরাকের বাগদাদ বিমানবন্দরের ফ্লাইট স্থগিত রাখা হয়েছে। নগরীর অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ রাখা হয়েছে।
তীব্র গরমে পুড়ছে ভারতের রাজধানী দিল্লিসহ উত্তরাঞ্চলের বেশ কিছু অঞ্চল। তবে আগামী তিন থেকে চার দিনের মধ্যে তাপমাত্রা কমবে বলে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এদিকে, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার জনে। প্লাবিত হয়েছে ২০টি জেলার প্রায় সাড়ে ছয়’শ গ্রাম। কয়েকটি অঞ্চলের সড়ক যোগযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত দুই লাখ মানুষ। এছাড়া, কেরালা রাজ্যে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। বহাল রাখা হয়েছে রেড এলার্ট। আন্দামান ও নিকোবর দীপপুঞ্জেও ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর।
অন্যদিকে, পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে তীব্র তাপদাহ অব্যাহত রয়েছে। দেশটির সিন্ধু প্রদেশের জ্যাকোবাবাদে তাপমাত্রা ৫১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সেখানকার জনজীবন।
এদিকে, আবারও ধুলিঝড়ের কবলে পড়েছে ইরাকের রাজধানী বাগদাদ। বন্ধ রয়েছে সেখানকার স্কুল ও অফিস। স্থগিত করা হয়েছে বাগদাদ বিমানবন্দরের সব ফ্লাইট। শ্বাসকষ্টজনিত কারণে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে অনেককেই।