ক্রিকেটারদের মধ্যে যে কজনকে নিয়ে নিয়মিত সমালোচনা হয়, নাঈম শেখ তাদের একজন। টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট হয়েও তার মন্থর গতির ব্যাটিংয়ে হতাশ হতে হয়। নিজের সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠতে নতুন সব শটে অনুশীলন করছেন তিনি। তামিমের অনুপস্থিতিতে বড় দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে চান নাঈম শেখ।
বিদেশি কোচিং স্টাফে পরিপূর্ণ বাংলাদেশ, তবুও নিজেদের অফ ফর্মে দেশি কোচের ওপরই আস্থা ক্রিকেটারদের। সাকিব, মুশফিকরা এখনো সমস্যার সমাধান খুঁজতে মোহাম্মদ সালাউদ্দিন কিংবা নাজমুল আবেদীন ফাহিমের দ্বারস্থ হোন। অগ্রজদের পথ অনুসরণ করলেন নাঈম শেখ। ফরিদপুরে ছেলেবেলার কোচ মোখলেসুর রহমানের অধীনে নিজেকে ফিরে পাবার চেষ্টা এ বাঁহাতি ওপেনারের।
নাঈমের মন্থর গতির ব্যাটিং টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট তকমাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। শেষ ১০ ম্যাচের আটটি টোয়েন্টিতে তার স্ট্রাইক রেট ১০০’র নিচে।
নাঈম শেখ বলেন, লাস্ট যতগুলো সিরিজ হয়েছে আমাদের দেশে আসলে আমি ওভাবে আমার স্ট্রাইক রেট ভালো রেখে খেলতে পারি নাই। তাই চেষ্টা করতেছে আমাদের দেশের কন্ডিশনে যেন ভালো স্ট্রাইক রেট রেখে খেলতে পারি। ওটার জন্যই আমি এখন প্রস্তুতি নিচ্ছি।
হাতে অল্প কিছু শট আছে তা দিয়েই দলে টিকে আছেন নাঈম। তবে টি-টোয়েন্টিতে ধারাবাহিক পারফর্ম করতে নতুন নতুন শট আয়ত্ত করতে হয় তা বুঝতে পেরেছেন টাইগার ওপেনার। তাই সুইপ আর স্কুপ নিয়ে আলাদাভাবে কাজ করছেন নাঈম শেখ।
নতুন করে শট শেখার প্রসঙ্গে নাঈম বলেন, আমি জানি আমি কি ধরেন খেলোয়াড়। আমাদের ভিডিও অ্যানালাইসিসে যিনি আছেন তার সঙ্গে কথা বলেছি। আমি সুইপ শট একটু কম খেলি, স্কুপ কম খেলি। এগুলো নিয়ে কাজ করতেছি। অফ টাইমে যতটুকো সময় পাচ্ছি এখানে কাজ করছি। নতুন করে একটা শট শিখতে গেলে একটু সময় বেশি দিতে হয়।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তামিমকে বিবেচনা করছে না বিসিবি। তাই নাঈম শেখের ওপর বাড়তি দায়িত্ব। নিজের সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে দলের আস্থাভাজন হয়ে উঠতে চান নাঈম শেখ।
এই ওপেনার বলেন, তামিম ভাইর মত সিনিয়র প্লেয়ার না থাকাতে আসলেই একটা প্রেসার। আমি চেষ্টা করবো আমার দিক থেকে শতভাগ দেয়ার জন্য। আমার যতটুকো অপরিপূর্ণতা আছে আমি যেন অফ টাইমে কাজ করে আবারও ভালোভাবে শুরু করতে পারি।
আপাতত ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে চোখ নাঈম শেখের।