শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, ০৩:২৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
বাজারে বেড়েছে সেমাই-কিসমিস, চালসহ বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে দেশজুড়ে বিক্ষোভ অব্যাহত থাকবে: এনসিপি নির্বাচনের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে : মির্জা ফখরুল যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে দেশে ফিরলেন বিমান বাহিনী প্রধান ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভ সেন্সরশিপ প্রশ্নে ভারত সরকারের বিরুদ্ধে ইলন মাস্কের মামলা নিউজিল্যান্ডকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান ‘বিমানের টিকিটের দাম বাড়ানোর সুযোগ আর নেই’ এবার মোদিকে যে সতর্কবার্তা দিলেন ট্রাম্প যারা হত্যা-লুটপাটে জড়িত নন, তাদের রাজনীতিতে বাধা নেই: রিজভী ঈদের আগেই ক্রেতাশূন্য বাজার, চালের সঙ্গে মুরগিও চড়া বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ইউনূস-মোদি বৈঠকের উদ্যোগ ঝলমলে আলোকসজ্জায় ফুটে উঠেছে ঈদের আমেজ আ. লীগকে ফেরানোর খায়েশ বিপজ্জনক: আসিফ মাহমুদ আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন জনগণ মেনে নেবে না: জামায়াত আমির

তিস্তায় পানি বৃদ্ধি, নির্ঘুম রাত কাটছে নদী তীরবর্তী মানুষের

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : জুন ১৭, ২০২২
তিস্তায় পানি বৃদ্ধি, নির্ঘুম রাত কাটছে নদী তীরবর্তী মানুষের

লালমনিরহাটে আবারো হু হু করে বাড়ছে তিস্তা নদীর পানি। এতে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে তিস্তা পারের বাসিন্দারা।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) রাত ৯টার দিকে জেলার হাতিবান্ধার দোয়ানীতে অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি ৫২.৭০ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হচ্ছে (স্বাভাবিক ৫২.৬০) যা বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘উজানে ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।’

স্থানীয়রা জানান, ইতোমধ্যে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। সকাল ৯টায় পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি এবং বিকেল ৩টায় বিপদসীমা দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। তবে রাত ৯ ডালিয়া পয়েন্ট পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রাতে পানি আরও বাড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।

উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টিপাতে তিস্তা ও ধরলা নদীর পাশাপাশি জেলার অন্যান্য নদী ও ডোবায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে ক্রমেই বাড়ছে দুর্ভোগ।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার কালমাটির সামছুল মিয়া জানান, নদীর পানি বিকেল থেকে হু হু করে বাড়ছে। নদীর তীরবর্তী হওয়ায় কয়েকদিন থেকে রাতে ঘুম আসছে না চোখে। কখন কি হয় সে চিন্তাই এখন মুল ভয়। এর আগে তিস্তার গ্রাসে ৮ বার বাড়ি সরিয়ে নিয়েছি বলেও জানান তিনি। শুধু সামছুল নয় ওই এলাকার ওবায়দুল,আমজাদসহ অনেকেই জানান নির্ঘুম রাত কাটানোর অভিজ্ঞতা।

এদিকে বন্যাসহ যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক আবু জাফর।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ