শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৫৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান প্রধান উপদেষ্টার দেশের নাম ও সংবিধান পরিবর্তনের অধিকার সরকারের নেই: জাসদ শেখ পরিবারের নামে থাকা ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন রোনালদোকে ধরে রাখতে ‘অবিশ্বাস্য’ প্রস্তাব আল নাসরের গাজায় অস্ত্রবিরতির কৃতিত্বের দাবি বাইডেনের ক্রিকেট বোর্ডে স্বৈরাচারী প্রভাব, সমাধানের আহ্বান আমিনুল হকের ‘নির্বাচিত সরকার ছাড়া গণতান্ত্রিক দেশ গড়া সম্ভব নয়’ দীর্ঘ ১৭ বছর পর কারামুক্ত বাবর এইচএমপি ভাইরাস আক্রান্ত নারীর মৃত্যু কোনো ভোটই রাতে হবে না: ইসি মাছউদ বিএনপির পক্ষ থেকে সর্বদলীয় সভায় যোগ দিচ্ছেন সালাউদ্দিন আহমেদ ‘ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে সব শিক্ষার্থী বই পাবে’ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের সমাবেশে হামলায় অন্তর্বর্তী সরকারের নিন্দা ঘোষণাপত্র নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে বিএনপির অংশগ্রহণ নিয়ে ধোঁয়াশা সংস্কার বাস্তবায়নে রাজনৈতিক ঐক্যই মূল চ্যালেঞ্জ

দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না: ফখরুল ইসলাম

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : অক্টোবর ১৫, ২০২২
দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না: ফখরুল ইসলাম

আন্দোলনের জোয়ারে আওয়ামী লীগ ভেসে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার বিকেলে ময়মনসিংহে বিএনপির বিভাগীয় মহাসমাবেশে এ হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে এই সরকারকে বাধ্য করা হবে।

শনিবার দুপুর ২টা বাজার কিছুক্ষণ আগে কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্য দিয়ে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ শুরু হয়। ২টা ২০ মিনিটের দিকে মঞ্চে ওঠেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি মঞ্চে উঠে নেতাকর্মীদের হাত নেড়ে অভিবাদন জানান।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের দাবি একটাই- বেগম খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে এবং দেশনায়ক তারেক রহমানের ওপর থেকে সব মামলা প্রত্যাহার করে দেশে আসার সুযোগ দিতে হবে।

গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে ফখরুল বলেন, ১ হাজার ৩৮০টা সিসি ক্যামেরা ছিল, পর্যাপ্ত নাকি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল, পুলিশ-র‌্যাব পাহারায় ছিল, তারপর ওই নির্বাচন দুপুরের মধ্যে বন্ধ ঘোষণা করতে হয়েছে। এ থেকেই প্রমাণ হয়, দলীয় সরকারের অধীনে কখনও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না।

এ সময় তিনি বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর থেকে সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও কারাগারে থাকা নেতাকর্মীদের মুক্তি দেয়ার দাবি তুলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কখনই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। তাই এই সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে এবং সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে।

তিনি বলেন, একটা বিষয়ে আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, দলীয় সরকার থাকলে কোনো নির্বাচন কোনোদিন সুষ্ঠু হবে না। সেটা প্রমাণ হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায় করা হবে।

সমাবেশে বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, বারবার আওয়ামী লীগই গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। গণতন্ত্রের নামে একনায়কতন্ত্র চালু করেছে ক্ষমতাসীনরা। আওয়ামী লীগ চুরি ও সন্ত্রাস থেকে বের হতে পারে না। সরকারের হুংকারে মানুষ ভয় পায় না। আন্দোলনের উত্তাল তরঙ্গের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ ভেসে যাবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, সমাবেশে যেন নেতাকর্মীরা না আসতে পারে সেজন্য সরকার অঘোষিত হরতাল-কারফিউ জারি করেছে। তবে, কোনো বাধা না মেনে নেতাকর্মীরা অংশ নিয়েছে।

সমাবেশের প্রধান অতিথি দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এতে বক্তব্য রাখেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপি চেয়ারপার্সনে উপদেষ্টা মশিউর রহমান। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক একেএম শফিকুল ইসলাম। পূর্বনির্ধারিত সমাবেশ সফল করতে ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, জামালপুর, শেরপুর ও কিশোরগঞ্জ জেলার নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, জ্বালানি তেল, চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের গুলিতে হত্যা, হামলা এবং মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে শনিবার বিভাগীয় গণসমাবেশ করে বিএনপি।

এর আগে সমাবেশ সফল করতে বিএনপির নেতাকর্মীরা দূরদূরান্ত থেকে নগরের পলিটেকনিক মাঠে এসে রাত্রি যাপন করেছেন। শনিবার সকাল থেকেই সমাবেশস্থলে নেতাকর্মীরা যোগ দিতে শুরু করেন। ময়মনসিংহের চার বিভাগ ছাড়াও কিশোরগঞ্জ এবং টাঙ্গাইল থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে সমাবেশ যোগদান করেন।

আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের হুমকি-বাধা, লাঠি নিয়ে সড়কে অবস্থান ও যানবাহন থেকে নামিয়ে দেয়ার পরও ময়মনসিংহের সমাবেশস্থলে জড়ো হয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জনাকীর্ণ হয়ে উঠছে সমাবেশস্থল ময়মনসিংহের পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট মাঠ। স্লোগান, মিছিল আর বাদ্যের তালে তালে মুখরিতে হয়ে উঠছে পুরো এলাকা।

কিশোরগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহ রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। গতকাল শুক্রবার রাত থেকে শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কিশোরগঞ্জের গাইটাল বাসস্ট্যান্ড থেকে ময়মনসিংহগামী কোনো বাস চলাচল করতে দেখা যায়নি।

সমাবেশ স্থলমুখী সড়কে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় বাধ্য হয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা জলপথে নৌকা-ট্রলারে করে সমাবেশ যোগ দেন। এ ছাড়া রাস্তায় একাধিক কর্মী হামলার শিকার হয়েছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরপরও ময়মনসিংহের সমাবেশস্থল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট মাঠে নেতাকর্মীদের ঢল নামে।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ