দাম বাড়ার পর বেড়িয়ে আসছে তেলের মজুত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৪:৪২ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১০ মে ২০২২ ৪৩ বার পড়া হয়েছে
বৃত্তান্ত২৪ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাজারে বেড়েছে সয়াবিন তেলের সরবরাহ। তবে চড়া দামের প্রভাবে নেই আগের মতো বেচাকেনা। এতে দৈনিক বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন খুচরা বিক্রেতারা। চড়া দামের কারণে ক্রেতাদের কেউ কেউ শুধু দাম জিজ্ঞেস করেই হাটছেন উল্টো পথে। কেউবা আবার চাহিদা কমিয়ে কিনছেন স্বল্প পরিমানে।

ক্রেতারা বলছেন, সরকার তেলের দাম ৩৮ টাকা বেশি নির্ধারিত করে দিয়েছে যা পুরোপুরি আমাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। আমাদের এখন কিনতে খুব কষ্ট হচ্ছে, কিন্তু করারও তো কিছুই নেই। কিনতে তো হবেই।

উর্ধ্বমুখী দামে খুব একটা স্বস্তিতে নেই খুচরা বিক্রেতারাও। ক্রেতা সাধারণ খরচটা বেশ কমিয়ে আনায়, দৈনিক বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে পড়তে হচ্ছে বিপাকে। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন, তেলের দাম এতো বেশি যে ব্যক্তি আগেকিনত ৫ লিটার সে এখন নিচ্ছে ১ লিটার। আমাদের চালান বেশি লাগছে এবং লাভের সংখ্যাও কম হচ্ছে।

দাম বাড়ানোর পর দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বেরিয়ে আসছে লুকিয়ে রাখা সয়াবিন তেল। রাজশাহী, কুষ্টিয়া ও পাবনায় অভিযান চালিয়ে দেড় লাখ লিটারের বেশি অবৈধভাবে মজুত তেল জব্দ করা হয়েছে। সরকার নির্ধারিত দরের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করায় আটক করা হয়েছে পাঁচজনকে। জরিমানা করা হয়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা।

গত কয়েকদিন ধরে দেশজুড়ে দেখা দেয় সয়াবিন তেলের সংকট। হঠাৎ করেই পাইকারি থেকে খুচরা বাজারে তেল পাচ্ছিলেন না ক্রেতারা। সম্প্রতি দাম বাড়ানোর পর বেরিয়ে আসতে থাকে মজুত করা তেল।

এমন পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে শুরু হয় অভিযান। মঙ্গলবার রাজশাহীতে অভিযান চালিয়ে ৪৫৪ ব্যারেল তেল জব্দ করে পুলিশ। পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর বাজারের চারটি গুদাম ও একটি ট্রাকে অবৈধভাবে মজুত এই তেলের পরিমান ৯২ হাজার ৬১৬ লিটার। আটক করা হয় পাঁচজনকে; যারা কেউই ডিলার নন, মজুত করেছিলেন অবৈধভাবে।

এর আগে রাজশাহী নগরীতে অভিযান চালায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সাহেব বাজারের হুমায়ুন স্টোর থেকে ১শ’ ৩২ লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করা হয়। পরে স্টোরের মালিক হুমায়ুন কবীরকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া অতিরিক্ত দাম রাখায় সাহেববাজারে পাপ্পু এন্ড ব্রাদার্সের মালিককে পাঁচ হাজার টাকা এবং নগরীর বহরমপুর মোড়ের নুরুন্নবী ট্রেডার্সের মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

পাবনার ঈশ্বরদীর কর্মকার পাড়া এলাকায় শ‍্যামল পাল নামে এক ব‍্যবসায়ীর গোডাউনে অভিযান চালিয়ে ১৮ হাজার লিটার ভোজ‍্য তেল উদ্ধার এবং মজুতকারীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

কুষ্টিয়া শহরের বড়বাজারের গোডাউনে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে মজুত ৪০ হাজার লিটার সয়াবিন তেল জব্দ হয়েছে। জরিমানা করা হয়েছে ৩০ হাজার টাকা।

এদিকে, বরিশালের সাগরদী বাজারের অভিযান চালিয়ে মজুত করা ৩০ লিটার তেল জব্দ করে সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

নিউজটি শেয়ার করুন

দাম বাড়ার পর বেড়িয়ে আসছে তেলের মজুত

আপডেট সময় : ০৯:৫৪:৪২ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১০ মে ২০২২

বাজারে বেড়েছে সয়াবিন তেলের সরবরাহ। তবে চড়া দামের প্রভাবে নেই আগের মতো বেচাকেনা। এতে দৈনিক বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন খুচরা বিক্রেতারা। চড়া দামের কারণে ক্রেতাদের কেউ কেউ শুধু দাম জিজ্ঞেস করেই হাটছেন উল্টো পথে। কেউবা আবার চাহিদা কমিয়ে কিনছেন স্বল্প পরিমানে।

ক্রেতারা বলছেন, সরকার তেলের দাম ৩৮ টাকা বেশি নির্ধারিত করে দিয়েছে যা পুরোপুরি আমাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। আমাদের এখন কিনতে খুব কষ্ট হচ্ছে, কিন্তু করারও তো কিছুই নেই। কিনতে তো হবেই।

উর্ধ্বমুখী দামে খুব একটা স্বস্তিতে নেই খুচরা বিক্রেতারাও। ক্রেতা সাধারণ খরচটা বেশ কমিয়ে আনায়, দৈনিক বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে পড়তে হচ্ছে বিপাকে। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন, তেলের দাম এতো বেশি যে ব্যক্তি আগেকিনত ৫ লিটার সে এখন নিচ্ছে ১ লিটার। আমাদের চালান বেশি লাগছে এবং লাভের সংখ্যাও কম হচ্ছে।

দাম বাড়ানোর পর দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বেরিয়ে আসছে লুকিয়ে রাখা সয়াবিন তেল। রাজশাহী, কুষ্টিয়া ও পাবনায় অভিযান চালিয়ে দেড় লাখ লিটারের বেশি অবৈধভাবে মজুত তেল জব্দ করা হয়েছে। সরকার নির্ধারিত দরের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করায় আটক করা হয়েছে পাঁচজনকে। জরিমানা করা হয়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা।

গত কয়েকদিন ধরে দেশজুড়ে দেখা দেয় সয়াবিন তেলের সংকট। হঠাৎ করেই পাইকারি থেকে খুচরা বাজারে তেল পাচ্ছিলেন না ক্রেতারা। সম্প্রতি দাম বাড়ানোর পর বেরিয়ে আসতে থাকে মজুত করা তেল।

এমন পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে শুরু হয় অভিযান। মঙ্গলবার রাজশাহীতে অভিযান চালিয়ে ৪৫৪ ব্যারেল তেল জব্দ করে পুলিশ। পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর বাজারের চারটি গুদাম ও একটি ট্রাকে অবৈধভাবে মজুত এই তেলের পরিমান ৯২ হাজার ৬১৬ লিটার। আটক করা হয় পাঁচজনকে; যারা কেউই ডিলার নন, মজুত করেছিলেন অবৈধভাবে।

এর আগে রাজশাহী নগরীতে অভিযান চালায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সাহেব বাজারের হুমায়ুন স্টোর থেকে ১শ’ ৩২ লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করা হয়। পরে স্টোরের মালিক হুমায়ুন কবীরকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া অতিরিক্ত দাম রাখায় সাহেববাজারে পাপ্পু এন্ড ব্রাদার্সের মালিককে পাঁচ হাজার টাকা এবং নগরীর বহরমপুর মোড়ের নুরুন্নবী ট্রেডার্সের মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

পাবনার ঈশ্বরদীর কর্মকার পাড়া এলাকায় শ‍্যামল পাল নামে এক ব‍্যবসায়ীর গোডাউনে অভিযান চালিয়ে ১৮ হাজার লিটার ভোজ‍্য তেল উদ্ধার এবং মজুতকারীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

কুষ্টিয়া শহরের বড়বাজারের গোডাউনে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে মজুত ৪০ হাজার লিটার সয়াবিন তেল জব্দ হয়েছে। জরিমানা করা হয়েছে ৩০ হাজার টাকা।

এদিকে, বরিশালের সাগরদী বাজারের অভিযান চালিয়ে মজুত করা ৩০ লিটার তেল জব্দ করে সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।