কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী দলের নেতাদের সঙ্গে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ শুরু করেন। শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) ফরিদাবাদের মেট্রো স্টেশন থেকে এ যাত্রা শুরু হয়। যাত্রাটি দিল্লি পর্যন্ত পৌঁছেছে। খবর এনডিটিভির
রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রায় স্বাস্থ্যবিধি মানার নির্দেশনা জারি করেছে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়। তবে সরকার এ নির্দেশনাকে ভালোভাবে নেয়নি কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশ। তিনি বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে জারি করা কোভিড প্রোটোকল আমরা অনুসরণ করব। কিন্তু বিজেপি করোনা নিয়ে ব্যাপকভাবে রাজনীতি করছে এবং ভারত জোড়ো যাত্রাকে হেয় করার চেষ্টা করেছে। আমরা দেশের স্বার্থে সরকার কর্তৃক জারি করা সকল প্রটোকল অনুসরণ করব’।
শনিবার সকালে বদরপুর সীমান্ত থেকে রাজধানী দিল্লিতে প্রবেশ করেছে কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’। প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী, দলের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, স্বামী রবার্ট বঢরাকে এবং রাহুল গান্ধীসহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র কংগ্রেস নেতা দিল্লিতে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’-তে যোগ দেন।
ভারত জোড়ো যাত্রা বিকেল সাড়ে চারটায় লাল কেল্লায় পৌঁছাবে, সেখানেই ভাষণ দেবেন রাহুল গান্ধী। রাহুল গান্ধীর এই সফরে বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশ নেবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভারত জোড়ো যাত্রায় ভিড়ের পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লি ট্রাফিক পুলিশের তরফে জনসাধারণের জন্য একটি নির্দেশও জারি করা হয়েছে।
ভারত জোড়ো যাত্রায় যারা অংশ নিয়েছেন সকলেই আশ্রম চকের কাছে ধর্মশালায় দুপুরের খাবার এবং বিশ্রাম নেবেন। এরপর যাত্রাটি নিজামুদ্দিন, ইন্ডিয়া গেট সার্কেল, আইটিও, দিল্লি ক্যান্ট, দরিয়াগঞ্জ হয়ে লাল কেল্লায় পৌঁছাবে। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর পাশাপাশি দলের সিনিয়ার নেতা রাজঘা্টে পৌঁছে শ্রদ্ধা জানাবেন।
কংগ্রেসের ভারত জোড়া যাত্রা ৭ সেপ্টেম্বর কন্যাকুমারী থেকে শুরু হয়। তামিলনাড়ু, কেরালা, কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং হরিয়ানা হয়ে যাত্রা দিল্লি পৌঁছেছে। নতুন বছরে উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানার পর এই যাত্রা আবার পাঞ্জাব হয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের উদ্দেশ্যে রওনা হবে।