ভারতের রাজধানী দিল্লিতে বায়ুদূষণ পরিস্থিতি চরম আকার নিয়েছে। শহরটির বাতাসের গুণমান খারাপ হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এমন অবস্থায় বেশ কিছু বিধিনিষেধ জারি করেছে প্রশাসন। দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
স্থানীয় সময় আজ সোমবার সকাল থেকে বেশ কিছু নিয়ম চালু করেছে দিল্লি প্রশাসন। যেসব ট্রাক প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি নিয়ে আসবে বা জরুরি পরিষেবায় পৌঁছে দেওয়ার জিনিস থাকবে কেবল সেসব ট্রাক দিল্লিতে প্রবেশ করতে পারবে। জরুরি পরিস্থিতিতে স্কুল, কলেজসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও জরুরি পরিষেবায় যুক্ত নয় এমন ব্যবসায়িক কাজকর্ম বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে পারে রাজ্য। এরইমধ্যে স্কুলগুলোতে অনলাইন ক্লাস শুরু করার কথা বলা হয়েছে। শিশু ও বয়স্কদের বিশেষ করে যাদের শ্বাসকষ্ট রয়েছে কিংবা শ্বাস-প্রশ্বাস সংক্রান্ত কোনো অসুখ রয়েছে বা ক্রনিক রোগ রয়েছে তাদের যতটা সম্ভব বাড়ির ভেতরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
গত কয়েক দিন ধরে ভারতের দিল্লি ও পাকিস্তানের লাহোরের বাতাসে দূষণ ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের তথ্যানুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১০০১ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে দিল্লি। আর ৪১৪ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে লাহোর।
এ ছাড়া বায়ুদূষণের কবলে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাও। আজ সোমবার ২৪২ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ঢাকা, যা দূষণের দিক থেকে বেশ অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত।
বায়ুর মান স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়, আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ ছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০ স্কোরের মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। তাই দিল্লি ও লাহোরের বায়ুরমান স্কোর নজিরবিহীন বলে মনে করা হচ্ছে।