প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করতে আগামী ২১শে এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) দুই দিনের সফরে ভারত আসছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এমনটি জানানো হয়।
শনিবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানায়, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে এ সফর করবেন তিনি। ২১-২২শে এপ্রিল ভারতে থাকবেন জনসন।
সফরকালীন ব্রেক্সিট পরবর্তী কৌশলের অংশ হিসেবে ভারতের সাথে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করবেন বরিস। এছাড়া ইউক্রেন ইস্যুতেও দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হতে পারে।
তবে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানান না হলেও একাধিক সূত্র জানায় ভূ -রাজনৈতিক অন্যান্য প্রসঙ্গের পাশাপাশি ইউক্রেন ইস্যুতেও আলোচনা হতে পারে। ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর পর থেকে রাশিয়া থেকে ভারতের তেল ক্রয়ের ব্যাপারে হতাশা জানিয়ে আসছে পশ্চিমা দেশগুলি।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বের হওয়ার পর থেকেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতে চাইছে ব্রিটেন। ইন্দো-পেসিফিক অঞ্চলে প্রতিরক্ষা এবং বিদেশনীতির ক্ষেত্রে ভারতকে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে মনে করে ইউরোপের এই দেশটি। সেক্ষেত্রে জনসনের এই সফর দুই দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে বিশেষজ্ঞদের ধারনা, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা ছাড়াও মোদি-জনসনের আলোচনার সিংহভাগ জুড়ে থাকবে কিয়েভ-মস্কোর সংঘর্ষ। সম্প্রতি যুদ্ধবিধ্বস্ত কিয়েভ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন জনসন। সেখানে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে রাস্তায় ঘুরতে দেখা গিয়েছিল তাকে। ভারত সফরে তার সেই অভিজ্ঞতার কথাই মোদির কাছে তুলে ধরতে পারেন জনসন।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই রাশিয়া সফরের জন্য ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে রাশিয়া।